// কামরুল হাসান, টাংগাইল পতিনিধিঃ গ্রামীণ ঐহিত্য ধরে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করার লক্ষে টাঙ্গাইলের সখিপুরে ঐতিহ্যেবাহী ঘোড়া দৌঁড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ডাবাইল গ্রামে ডাবাইলপাড়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের উদ্যোগে ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ঘোড়া দৌঁড় প্রতিযোগিতা দেখতে হাজার হাজার মানুষ উপচে পড়া ভিড় করে।
ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় সিলেট সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ টাঙ্গাইল জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অর্ধশত ঘোড়া অংশ নেয়। এরমধ্যে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সের চার-পাঁচ জন কিশোরও ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
খেলাটি পাঁচ ধাপে পরিচালনা করা হয়। তিনটি ধাপে কদম দৌঁড় প্রতিযোগিতা এবং পরের দুটি ধাপে দাপট দৌঁড় প্রতিযোগিতা হয়েছে। প্রতি ধাপে ৮টি করে ঘোড়া অংশগ্রহণ করে।
কদম দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম ধাপে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ডাবাইলপাড়া গ্রামের
সুমন মিয়া, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন জয়না বাজার এলাকার শুভ হোসেন। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন ঘাটাইলের বাবু মিয়া।
দ্বিতীয় ধাপে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মানিকগঞ্জের আরশেক। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন নসিরপুরের সালাম মিয়া ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন মাদারগঞ্জের খালেক মিয়া।
তৃতীয় ধাপে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মানিকগঞ্জের টুটুল হোসেন। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন ঘাটাইলের ইসমাইল এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন কালমেঘা গ্রামের মজিবর মিয়া।
দাপট দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম ধাপে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ঘাটাইলের ইসমাইল। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন ডাবাইলপাড়া গ্রামের সুমন ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন জামালপুরের আব্দুল খালেক।
দ্বিতীয় ধাপে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন টক্কারমোড় এলাকার কবির মিয়া। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন বহুরিয়া ইউনিয়নের সিয়াম। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন সরিষাবাড়ির সাইফুল দরজি।
ঘৌড় দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে আশা কালমেঘা গ্রামের বৃদ্ধ খালেক মিয়া (৬৫) বলেন, হারিয়ে গেছে এ ঐতিহ্যবাহী খেলা বহু বছর পর এমন আয়োজন দেখতে পেরে খুব ভালো লাগছে প্রতিবছর এমন আয়োজন করা হোক আয়োজক কমিটির কাছে দাবি করছি।
ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দিতে এসেছেন ঘাটাইলের ইসমাইল মিয়া (১৫) বলেন, আমি ৩ বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। বিভিন্ন জায়গা গিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছি। আজও প্রথম হয়েছি অনেক ভালো লাগছে। এরকম আয়োজন প্রতি বছর করা হোক এটাই দাবি আয়োজকদের কাছে।
আয়োজক কমিটির সভাপতি মারুফ হাসান বলেন, নতুন প্রজন্মদের ঘোড় দৌঁড় সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে টানা তিন বছর ধরে এমন আয়োজন করা হচ্ছে আগামীতেও এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আয়োজক কমিটি।