তেঁতুলিয়ায় কনকনে শীতে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অগ্রহায়ণের শেষ সময়ে জেঁকে বসেছে শীত। এ শীতে কাহিল উত্তরের সীমান্তবর্তী উপজেলার তেঁতুলিয়ার মানুষ। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া দেশের সর্বনিম্ন ও এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সোমবার ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
সকালে বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত দুদিনের থেকে মঙ্গলবার সকালে কম ছিল কুয়াশা। সকাল ৮টার পর রোদ উঠলেও বেলা বাড়া পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভব হয়েছে। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষদের কাজে বের হতে দেখা যায়। সাধ্যমতো সবাই ঠাণ্ডা মোকাবিলায় গরম কাপড় পরছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত কয়েক দিন ধরেই কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। মেঘ ও কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্যের মুখ। কমেছে দিনের তাপমাত্রাও। বিকাল গড়ালেই হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শীতের প্রকোপ। সকালে দেখা যায় প্রকৃতি কুয়াশার চাদরে জড়িয়েছে। সে কুয়াশায় ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। শীত ঘিরে বেড়েছে শীতের পোশাকের চাহিদা। স্থানীয়রা জানান, তেঁতুলিয়ায় দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে আগে শীত নামে। এ মৌসুমেও শীতের আমেজ অনুভূত হয় অক্টোবরের শেষ দিকে। তবে নভেম্বরের শুরু থেকে বাড়তে থাকে শীতের প্রকোপ।
শীতের আগমনে উপজেলার ফুটপাতগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে শীতের কাপড়ের দোকান। সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, ট্রাউজার, টুপিসহ বিভিন্ন রকমের শীতের কাপড় ওঠে এসব দোকানগুলোতে। আর ঠাণ্ডা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। চিকিৎসকরা শীতে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা কমেছে। মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। গত সোমবার সকালে এ উপজেলায় ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বিশেষ করে হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটবর্তী হওয়ায় এ অঞ্চলে শীত বেশি হয়ে থাকে। সামনে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।