// নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ের দিয়ার সাতুরিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ ভুঁইয়া দ্বাদশ নিবার্চনে প্রাথীতা চেয়ে নৌকা প্রতীকের আবেদন করেছেন। নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা ) আসনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী হতে চান। প্রধানমন্ত্রী তাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করার জন্য তার সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান ।
আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান দাবি করে আব্দুস সামাদ ভুঁইয়া জানান, তারা পিতা প্রয়াত আফাজ উদ্দিন ভুইয়া ও তার মা আয়েশা বেগম সহ পরিবারের সকলেই আওয়ামীলীগ তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। ১৯৯৫ সালে এসএসি পাশ করার পর তিনি কলেজে ভর্তি হন এবং ইন্টার পাশ করেছেন। আওয়ামীলীগ করতে গিয়ে তিনি ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের শিকার হন।
তিনি লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন ।
আব্দুস সামাদ ভুঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে স্বাক্ষাত করা তার দির্ঘদিনের প্রবল ইচ্ছা। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি নাটোরের উন্নয়ন সহ তৃনমুল মানুষ ও তার নিজের কিছু কথা বলতে চান। এই কথাগুলো বলতে পারলে তার জীবনের চাওয়া পাওয়ার অনেক কিছুই পুরন হবে বলে তিনি মনে করেন। তাকে নাটোর সদর আসনে মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি সকলকে সাথে নিয়ে ভোটে লড়বেন। সেই প্রস্তুতিও তার রয়েছে বলে জানান।
এলাকাবাসী অনেকেই তাকে সমর্থন জানালেও অনেকে বিদ্রুপও করছেন। এলাকাবাসী জানায়,চাল চুলাহীন আব্দুস সামাদ ভুইয়া টিনের ছাউনি ঘরে এখনও বাস করেন। বিধবা এক বোনকে নিয়ে থাকেন সেই বাড়িতে। আয়ের কোন উৎস নেই। বাপ দাদার রেখে যাওয়া জমিতে ফসল আবাদ করে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে তাদের দুই ভাইবোনের সংসার। ওই জমির কিছু অংশ বিক্রি করে দলীয় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। প্রতিবেশী পশু চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম বলেন, আব্দুস সামাদ একজন সহজ সরল মানুষ। কট্টর আওয়ামীলীগার। যেখানেই দলের মিটিং মিছিল হয় সেখানেই তিনি ছুটে যান। প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে কিছু বলাই তার চাওয়া পাওয়া।