সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ
বগুড়ায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগে দুর্দান্ত খেলে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতেছে শহীদ তোতা স্মৃতি সংঘ। বুধবার বিকেলে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লীগের চূড়ান্ত খেলায় ৪ উইকেটে সুমন মেমোরিয়াল ক্লাবকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন এর মুকুট অর্জন করে শহীদ তোতা সংঘ। ১৯৮৫ সালে ক্লাবটির প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রথম ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগে এমন স্মরণীয় জয়ে এখন খুশির জোয়ারে ভাসছে সংঘের খেলোয়াড়বৃন্দ।
চূড়ান্ত খেলায় প্রতিপক্ষ সুমন মেমোরিয়াল ক্লাবের দেয়া ১৬৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শহীদ তোতা স্মৃতি সংঘের খেলোয়াড়রা ৪ উইকেট হাতে রেখেই দুর্দান্ত এক খেলার মাধ্যমে বিজয় অর্জন করে। টিমের সদস্য জীবন একাই সংগ্রহ করেন ৮০ রান, সাথে সবুজ ২৯ ও মুন করেন ১৫ রান। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের স্বীকৃতিও পায় শহীদ তোতা স্মৃতি সংঘেরই খেলোয়াড় জীবন যে ৮০ রানের পাশাপাশি বোলিং করে নিয়ে নেন প্রতিপক্ষের ২ উইকেট।
বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন বগুড়া জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, তরুণ খেলোয়ারদের সৃজনশীল ও নান্দনিক খেলায় এবারের ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগ শুরু থেকেই অত্যন্ত প্রাণবন্ত ছিলো। বগুড়ার ক্রীড়াঙ্গণে এভাবেই তৈরি হোক নতুন ও মেধাবী খেলোয়াড় এমন স্বপ্নে বগুড়াসহ দেশব্যাপী ক্রীড়াঙ্গণের বিকাশে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয়ী দলের সভাপতি জুলফিকার রহমান শান্ত, এ্যাডোনিস বাবু তালুকদার, লীগ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ফরিদ, সদস্য সচিব এস.এম নূর-ই আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
প্রথম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়া শহীদ তোতা স্মৃতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক সমাজসেবক সামিউল হক জানান, পুরো লীগের খেলায় অপরাজিত থেকে প্রতিষ্ঠার পরে এই প্রথম তারা চ্যাম্পিয়নের শিরোপা অর্জন করেছেন যা টিমের সকল খেলোয়াড়কে সামনে এগিয়ে যেতে আরো উজ্জীবিত ও অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকা ও প্রতিটি ক্লাবেই মেধাবী খেলোয়াড় রয়েছে কিন্তু তারা যতœ ও সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে নিজেদের প্রতিভা বিকাশ করতে পারেনা। শহীদ তোতা স্মৃতি সংঘের দায়িত্ব পাবার পর থেকেই তারা চেষ্টা করেছেন প্রত্যেকের সেই সুপ্ত প্রতিভাকে কাজে লাগানোর যার ফলস্বরুপ বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী এই সংঘের এটি প্রথম বিজয় যে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চান তারা।