নাটোরে বাস কাউন্টার খোলা থাকলেও নেই যাত্রী, অলস সময় কাটছে চালক- শ্রমিকদের

নাটোর প্রতিনিধি
বিএনপি-জামায়াত ডাকা ৭২ ঘন্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে নাটোর থেকে ঢাকা রুটে কোনো ধরেন যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। বাস টার্মিনালে কাউন্টার খোলা থাকলেও যাত্রীদের দেখা মিলছে না। ফলে অলস সময় পার করছেন চালক ও শ্রমিকরা।

বুধবার(১ নভেম্বর) সকাল থেকে নাটোর হরিশপুর বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে শহরের মাদ্রসা মোড় থেকে উত্তরঞ্চলের বগুড়ার উদ্দেশ্যে একটি নাবিলা পরিবহন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের হরিশপুর বাস টার্মিনালে যাত্রী পেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এক দুজন যাত্রী দেখা গেলও বাস না ছাড়ায় বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে। অন্যদিকে বগুড়া রুটে সকালে একটি যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী ছিল না। যাত্রীদের চলাচলের জন্য একাধিক বাস নামানো হলেও যাত্রী না থাকায় বাসস্ট্যান্ডে সারিবদ্ধ থাকতে দেখা গেছে।

যশোর থেকে আসা আল আমিন হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, যশোর থেকে ভোরে ট্রেনে নাটোর স্টেশনে নেমেছি। কিন্তু বগুড়া যাবার জন্য কোনো বাস পাচ্ছি না। বাস না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছি। বাধ্য হয়ে তিনি সিংড়ার লোকাল বাসে উঠেছেন। কেটে কেটে বগুড়া যেতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সাইফুল নামে এক যাত্রী বলেন, রাজশাহী ব্যবসায়ী কাজে জরুরি যেতে হবে। কিন্তু অবরোধের কারণে যেতে পারছেন না। তেমন কোন বাস পাচ্ছেন না তিনি। সিএনজিতে করে রওনা দেবেন বলে তিনি জানান।

নন্দীগ্রামের যাত্রী মনিরুল ইসলাম বলেন, জরুরি কাজ থাকায় সকালে বাস না পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় সিএনজিতে নাটোরে এসেছি। বাস না পেলে বাধ্য হয়ে আবার সিএনজিতে ফিরতে হবে। আমরা হরতাল-অবরোধ চাই না। আমরা সাধারণ মানুষ শান্তি চাই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাস চালক বাদশা বলেন, অবরোধের কারণে দুদিন ধরে বসে বসে দিন কাটছে। যাত্রী না থাকায় মালিক বাস ছাড়তে পারছেন না। আমরা পরিবার নিয়ে খুবই সমস্যায় রয়েছি। আমাদের আয়-ইনকাম বন্ধ।

বাস চালক হাবিব হোসেন বলেন, টার্মিনালে কোনো যাত্রী নেই। এ কারণে বসে বসে মোবাইলে গ্যাম খেলছি। যাত্রীরা ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। যাদের জরুরি কাজ তারা ছোট যানবহনে চলাফেরা করছেন।

নাটোর বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, গতকাল চন্দ্রায় আমাদের একটি বাস ভাংচুর করা হয়েছে। এ কারণে নাটোর থেকে ঢাকায় কোনো যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি। অভ্যন্তরীণ রুটে কিছু সংখ্যক বাস চলাচল করছেন বলে তিনি জানানন।