নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে অবরোধবিরোধী বিক্ষোভে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সমর্থক আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এতে কাউন্সিলর রানাসহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নাটোর শহরের বড়হরিশপুর বাস টার্মিনালে এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রানা হোসেন ও রাসেদুল ইসলাম কোয়েল গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে ।
আহতদের মধ্যে কাউন্সিলর রানা হোসেন, জাহিদুল, আশিক, রবিন ও মেজরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জাহিদুল ও আশিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে হরিশপুর টার্মিনাল এলাকায় জেলা যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়াসহ পৌর কাউন্সিলর রানা ও কোয়েল অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে কোয়েলও রানা গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে ৫ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে জাহিদুল, আশিক, রবিন ও মেজরকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে নাটোর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রানা হোসেন জানান, এমপি শিমুল ভাইয়ের নির্দেশে আমরা হরিশপুর বাস টার্মিনালে এহিয়া ও আলমের ভাইয়ের সঙ্গে কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এসময় কয়েল, প্রিন্স এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়। কর্মসূচি পালনের একপর্যায়ে কোয়েল সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ ৫ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়
রাশেদুল ইসলাম কোয়েল বলেন, কর্মসূচি পালনের সময় কাউন্সিলর রানা বিএনপি কর্মী মিলনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। বিএনপি নেতা মিলন কমিশনার রানার বোন জামাই। তাকে আনার কারণ জানতে চাইলে ঝগড়া হয়। এ সময় হঠাৎ করে পেছন থেকে আমাকে মাথায় আঘাত করা হয়। এর পর কি হয়েছে তা তিনি বলতে পারবেন না বলে জানান।
যুবলীগের সভাপতি বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই রানা ও কোয়েল গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন রানা ও কোয়েল আওয়ামী লীগের কেউ না।
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। তবে কেউই থানায় অভিযোগ করেনি।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।