// আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মানের অভিযোগে ভবন নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয়রা। গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার কোমারপুর গ্রামে ভবনের মেঝে ঢালাই কাজে বালু আর নিম্মমানের সিমেন্ট ব্যবহার করে ঢালাই কাজ শুরু করলে বিক্ষুদ্ধ জনতার বাঁধায় নির্মান কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কোমারপুর গ্রামে অবস্থিত পুরনো কমিউনিটি ক্লিনিকটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় টেন্ডারের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হয়। এরপর নতুন ভবন নির্মানের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দেওয়ান মামুনুর রশিদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজটি পান। সম্প্রতি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন নির্মান কাজ শুরু করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয়দের অভিযোগ ভবন নির্মান কাজ শুরুর দিকে ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময় থেকে নিন্মমানের ইট, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রি ব্যবহার করা হচ্ছে। গত রোববার নিমার্ণাধিন ক্লিনিকের মেঝে ঢালাইয়ে খোয়া ব্যবহার ছাড়াই বালু ও পরিমানের চেয়ে কম সিমেন্টের সংমিশ্রন কাজ করার সময় স্থানীয় জনতা বাঁধা দিলে কাজ বন্ধ করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
কোমারপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিদাতা আকবর হোসেন জানায়, সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে না। ইট খোয়া ছাড়াই মেঝে ঢালাই করা হচ্ছে। একই অভিযোগ ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত সি.এইচ.ই.পি বিমল কুমারের। তিনি বলেন প্রথমে ভালো ইট দিয়ে কাজ করলেও পরে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছিলেন। কোমাপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, ভালো মানের সামগ্রি ব্যবহার করার কথা বলা হলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি তা করেননি। গত রোববার ভবনের মেঝে ঢালাই কাজে ইটের খোয়া ব্যবহার না করে বালুর উপরে ঢালাই দেয়ায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসির বাঁধার মুখে ঠিকাদার বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করেন।
ঠিকাদার দেওয়ান মামুন সাংবাদিকদের জানায়, নির্মান কাজে কোনো অনিয়ম করা হয়নি। ইটভাটা থেকেই খারাপ ইট সরবরাহ করার কারণে আমি নিজেই আপাতত কাজ বন্ধ রেখেছি। বগুড়া স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহি প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তবে সাইড প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।