ডাক্তার না থাকায় ঈশ্বরদী হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু 

// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা:

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে প্রসবকালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজের গর্ভের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নিভে গেছে প্রসূতি মায়ের প্রাণ।  মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর)  সকালে দিপা খাতুন (২০) নামে এ প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

নিহত  প্রসূতি উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর সাহাপুর গ্রামের সজিব হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের রেজাউল করিম টিপুর মেয়ে।

নিহতের স্বামী জানান, মঙ্গলবার ভোরে প্রসব বেদনা নিয়ে দিপাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সকাল সাতটার দিকে একটা ছেলে সন্তান জন্ম দেন দিপা। এর কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় দিপার। মৃতের পরিবারের অভিযোগ , নার্সদের হাতে ডেলিভারির পরই মারা যান ওই প্রসূতি। এ সময় হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। চিকিৎসক থাকলে হয়তো তাকে বাঁচানো যেতো।

তবে, দীপার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা মৃত্যুর কারণ প্রসংগে ভিন্ন ভিন্ন  কথ বলেছেন । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফ দিব্বা ভারতী বলেন, দীপার ডেলিভারের সময় আমি দায়িত্বরত ছিলাম। দিপার শরীরে রক্তের পরিমাণ অনেক কম ছিল। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে দেখেছি। রক্তশূন্যতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। 

 উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খান জানান, ডেলিভারির সময় দীপার রিপোর্টে কোনরকম সমস্যা পাওয়া যায়নি। সন্তান প্রসবের পর হার্ট অ্যাটাকে সে মারা গেছে।

 স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামীম ডেলিভারির সময় চিকিৎসক না থাকা প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে ৪-৫টি নরমাল ডেলিভারি হয়। এসব ডেলিভারি মিডওয়াইফরা (স্পেশাল নার্স) করে থাকেন। তারা এ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এ সময় চিকিৎসকের কোনো প্রয়োজন হয় না।