// অনেকের সকালে উঠে ধূমপান না করলে টয়লেটে যাওয়ার আগ্রহ আসে না। একই মানসিক অভ্যাস চা-কফির ক্ষেত্রেও দেখা যায়। তবে এটিকে ঠিক মানসিক না ভেবে কার্যত শারীরিক ভাবা অত্যন্ত জরুরি। কারণ চা-কফি খেলে মলমূত্রের বেগ প্রচুর বাড়ে। চা-কফি খেলে প্রস্রাবের বেগ পাওয়ার একটি যৌক্তিক কারণ অনেকেরই জানা। চা ও কফিতে ক্যাফেইন থাকে। ক্যাফেইন শরীরে পানিশূণ্যতা সৃষ্টি করে। মূলত ক্যাফেইন আপনার শরীরে প্রবেশ করে প্রস্রাব বেশি হওয়ায়। তাই পানিশূণ্যতাও শরীরে হয় প্রচুর। তবে এর কারণটি অনেকেরই জানা নেই।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নাজমা শাহীনের মতে, ক্যাফেইন যখন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তখন অন্ত্রে হজমে সহায়ক হরমোন, অ্যাসিড ও উৎসেকচকগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। অর্থাৎ ক্যাফেইন পেটে গেলেই অন্ত্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তখন প্রস্রাব বাদেও মলের বেগ আসতে পারে। এজন্যই অনেকে খাবারের পর চা খেয়ে থাকেন। মানসিক অভ্যাস নয় শরীরের চাহিদার নিরিখেই।
কিন্তু চা-কফি খেলে মল-মূত্রের বেগ আসার এই প্রবণতা অনেক সময় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। কারণ বাড়ির বাইরে দীর্ঘসময় থাকা হলে চা-কফি শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। সেজন্য চা-কফি না খেয়েও উপায় নেই। তবে আপনি যদি পেটে চাপের এই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে চান তাহলে চা-কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখতে পারেন।
দুধ মিশিয়ে চা-কফি নয়
চা কিংবা কফিতে দুধ মেশালেই সমস্যা।শুধু দুধ নয়, দুগ্ধজাত কোনো পণ্যই রাখা যাবে না। অনেকে কফিতে ক্রিম মেশান। ক্রিম বা দুগ্ধজাত পণ্য অন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য কফিতে দুগ্ধজাত এজেন্ট না মেশানোই ভালো। দুধ চা এড়িয়ে লাল চা ও গ্রিন টি খেতে পারেন। ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে মলের তীব্র চাপ হওয়ার শঙ্কা কমবে।
সময় বুঝে পান করুন
চা-কফি পান করার সময়টাও ভেবে নিন। আপনি যখন যাত্রাপথে তখন গাড়িতে ওঠার আগে চা-কফি না খাওয়াই ভালো।
কৃত্রিম চিনি বাদ দেওয়াই ভাল
অনেকে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কৃত্রিম চিনি মেশান। আর সাদা চিনি তো মেশানো হয়ই। দুটোই তীব্র প্রস্রাব কিংবা মলের বেগের কারণ হতে পারে। একেবারে চিনি ছাড়া চা-কফি খাওয়া ভালো। চায়ে টক বা ঝাল কিছু মেশানোও উচিত নয়। কারণ টক-ঝাল গ্যাসের উপদ্রব ঘটায়। আর কফিতে চিনি না দিলে বিস্বাদ লাগলেও দীর্ঘ-যাত্রার ক্ষেত্রে সেটাই আপনার জন্য উপকারি হবে।