// জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁওয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আগে থেকেই ভুগছে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে দফায় দফায় ডিমের বৃদ্ধিতে আরও অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশ কিছু দিন থেকে ডিমের উৎপাদন কমে এসেছে। ফলে চাহিদার তুলনায় জোগান কম
হওয়ায় দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজার করতে আসা মনিরা বেগম নামের এক নারী বলেন, ডিমের দাম গত সপ্তাহে যেটা ৪০ টাকা হালি ছিল সেটা এখন বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ টাকা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটা নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার করতে এলেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। মুরগি, গরুর মাংস এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অবস্থায় পরিবার নিয়ে চলা যাচ্ছে না। রজিফা নামের আরেকজন বলেন, ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দিন ধরে ডিম কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার, আমাদের ডিমের ওপরই ভরসা ছিল। হঠাৎ করে ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এখন তাও কিনতে পারছি না। বাজার নিয়ে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এদিকে জেলার ডিম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বড় বড় যে খামারগুলো রয়েছে তারা ডিমের দাম
বৃদ্ধি করার ফলে খুচরা বা পাইকারি বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধি করতে বাধ্য হচ্ছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় কাজী ফার্ম বাণিজ্যিকভাবে ডিম উৎপাদন করলেও তা রংপুর ও ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঠাকুরগাঁও জেলার
বেশিরভাগ ডিমের চাহিদা কাজী ফার্ম ও নর্থ অ্যাগ্রো ঠাকুরগাঁও থেকে পূরণ হয়। এছাড়া জেলায় আরও কয়েকজন ডিমের খামারি রয়েছেন। এ সকল ডিমের খামারের প্রতিদিনের মূল্য নর্থ অ্যাগ্রো ঠাকুরগাঁও থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে জানা যায়।
নর্থ অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মো. রেজওয়ান ইসলাম বলেন, সব জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আমাদের ডিম উৎপাদনে খরচও বেশি হচ্ছে।
এজন্য আমাদেরকেও বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, ঢাকার ডিমের মূল্য অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় ডিমের মূল্য ঠিক করা হয়। এতে আমাদের কোনো হাত নেই। ঠাকুরগাঁও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শেখ সাদী বলেন, প্রতিদিনই আমরা বাজার মনিটরিং করছি। যদি কোনো মধ্যস্থতাকারী ডিমের দাম বৃদ্ধি করে থাকে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নে ওয়া হবে।
তবে ঢাকা থেকে যেহেতু ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ হয়, তাই এখানে আমাদের তেমন বেশি কিছু করার থাকে না।