জুড়ীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মামুন দীর্ঘদিন থেকে পলাতক

// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ জুড়ীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মামুন মিয়া-কে দীর্ঘ দিনেও গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। পুলিশের চোঁখে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক রয়েছে। সে জুড়ী উপজেলার মধ্য বটুলী গ্রামের মোঃ মানিক মিয়ার পুত্র। সিআর-৩৩৮/২০১৯ইং (কুলাউড়া) মামলায় তাকে ৩মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। বিগত ২০২২ইং সালের ৬ ফেব্রুয়ারী মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম.মিজবাহ উর রহমান এ রায় প্রদান করেন। জানা গেছে- জুড়ী উপজেলার স্থানীয় আলালপুর মাদ্রাসার বিপরীতে অবস্থিত মদিনা এন্টার প্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী মোঃ মামুন এর বিরুদ্ধে ৩,৬০,০০০ টাকা আতœসাৎ এর অভিযোগে গত ১১/১২/২০১৭ইং মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। বিজ্ঞ আদালত দালিলিক সাক্ষ্য প্রমাণসহ অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতায় মোঃ মামুন মিয়া এর বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নিয়ে তাকে ৩মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। এর পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান- জুড়ী উপজেলার মদিনা এন্টার প্রাইজ নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মোঃ মামুন মিয়া ৪,১০,৭৭২/- টাকার সোলারের মালামাল রিমসো ফাউন্ডেশন হতে ক্রয় করতে চাইলে নগদে ৪৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এবং ৪ মাসের মধ্যে অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করবেন বলে একখানা লিখিত অঙ্গীকারনামা ও চেক প্রদান করেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিগত ০৯/০৭/২০১৯ইং কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির অফিসে এ বিষয়ে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যপারে জানতে চাইলে জুড়ী থানার এসআই ফরহাদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন- সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মামুন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাড়ী ছেড়ে পলাতক। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।