ইয়ানূর রহমান : জেলায় ডিমের চাহিদা বছরে ২৮ কোটি ৭৫ লাখ। উৎপাদন হয়েছে ৪৮ কোটি ৩৩ লাখ ডিম। ২০২১-২২ অর্থ বছরে যশোর জেলায় চাহিদার তুলনায় ১৯কোটি ৫৮ লাখ ডিম বেশি উৎপাদন হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ডিম দিবসের আলোচনা সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ পরিচালক ডাক্তার স্বপন কুমার রায়। তিনি জানান, উৎপাদিত ডিমের বাণিজ্যিক ব্যবহার ৩০ শতাংশ, পারিবারিক ব্যবহার ৪০ শতাংশ এবং জেলার বাইরে যায় ৩০ শতাংশ ডিম। পাশাপাশি বয়লার পার
কেজি উৎপাদনে খাবারে ব্যয় ৬৯ টাকা থেকে ৭০ টাকা। লেয়ারে উপাদনের খাবারে ব্যয় ৫৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৫৯ টাকা ৩৫ পয়সা।
জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতরে উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে লোন অফিস পাড়াস্থ কার্যালয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত
হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান। তিনি খামারিদের উদ্দেশ্যে বলেন যে খাদ্য মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর যে খাবার খামারে ব্যবহার করা যাবে না।
মুরগীর মাংস মানুষ খায়। এধরনের ক্ষতিকর খাবার মুরগীকে খাওয়ালে মানুষ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হবে। সেই সাথে পচা ডিম বিক্রি না করি। জেলায় ডিম সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ পরিচালক ডাক্তার স্বপন কুমার রায়। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল আলম
আলম, নিরাপদ পোল্ট্রি খামারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক এসএম আরিফ।
এর আগে অফিস চত্বর থেকে র্যালি বের করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে র্যালির উদ্বোধন করে যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান। এ সময় অফিসের কর্মকর্তা,কর্মচারী, খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।#