ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটম এবং ভিয়েতনাম একটি আন্তঃবিভাগীয় রোডম্যাপ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যার অধীনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত দেশটির পরমাণু প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করবে রসাটম। এই রোডম্যাপের অন্তর্ভূক্ত রয়েছে একটি পরমাণু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন, দা লাত এ অবস্থিত পারমাণবিক গবেষণা রিয়্যাক্টরের জন্য জ্বালানী সরবরাহ, MBIR রিয়্যাক্টর ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রে ভিয়েতনামের অংশগ্রহণ এবং দেশটির পরমাণু শিল্পের জন্য মানবসম্পদ প্রশিক্ষণ। রসাটমের মিডিয়া উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি রাশিয়ায় এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এবং ভিয়েতনামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী নগুয়েন মান হুম।
আলেক্সি লিখাচেভ জানান যে, কয়েক দশক ধরে ভিয়েতনামের সঙ্গে রসাটমের সহযোগিতার ফ্যাগশীপ কার্যক্রম হচ্ছে- গবেষণা। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা নির্মিত একটি গবেষণা রিয়্যাক্টর পুনরায় চালু করে তৎকালীন সোভিয়েত সরকার। বর্তমানে ভিয়েতনাম একটি নতুন গবেষণা রিয়্যাক্টরের জন্য ক্রয়াদেশ প্রদান করেছে।
তিনি আরও জানান যে, রসাটম ভিয়েতনামের দক্ষিনাঞ্চলীয় ডং নাই প্রদেশে একটি অত্যাধুনিক এবং শক্তিশালী গবেষণা রিয়্যাক্টর স্থাপিত হচ্ছে, যেটি হবে সম্ভবত দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় সর্বশ্রেষ্ট।
তার মতে রসাটমের সঙ্গে ভিয়েতনামের সম্পর্ক একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে। রসাটমের সহায়তায় নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি বৃহৎ পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। “আমরা আমাদের ‘বেস্ট সেলার ভিভিইআর ১২০০’ অফার করছি। এর প্রযুক্তি ও আর্থিক সহায়তা বিষয়গুলো নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে”।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রসাটমের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রসাটম এনার্জী প্রোজেক্টস এবং ভিয়েতনাম ইলেকট্রিসিটির পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রে পারষ্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
গইওজ আন্তর্জাতিক গবেষণা কেন্দ্রটি MBIR রিয়্যাক্টর ভিত্তিক। এখানে রুশ এবং বিদেশী বিজ্ঞানী ও গবেষকরা কাজ করার সুযোগ পাবেন। প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রত্যেককে একটি কন্সোর্টিয়াম চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয় যা সকল পক্ষের আইনগত ভিত্তি, পারষ্পরিক সম্পর্ক, অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর অধিকার ও দায়িত্ব নিশ্চিত করে।