স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বগুড়ায় প্রদর্শিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় পতাকা

২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে বগুড়ার জিলা স্কুলে দেশের ‘সর্ববৃহৎ’ জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয়েছে। পতাকাটির দৈর্ঘ্যে ১৫০ ফুট ও প্রস্থে ৯০ ফুট। এর মোট আয়তন হচ্ছে সাড়ে ১৩ হাজার বর্গফুট।
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে শুক্রবার সকালে জিলা স্কুল মাঠে এই পতাকা প্রদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক। বগুড়া জিলা স্কুল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রেজাউল বারী ঈশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার), বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আরশাদ সায়ীদ, মাসুদার রহমান হেলাল ও আকতারুজ্জামান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু, বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তাফীসহ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্য এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী রাকিব জুয়েল এবং কনক পাল। আয়োজকরা জানান, প্রাক্তন শিক্ষার্থীর তত্ত¡াবধানে জিলা স্কুল মাঠে ৬ মার্চ থেকে বিশাল এই পতাকা তৈরির কাজ চলে। দর্জি রানা মিয়ার নেতৃত্বে ছয়জন দর্জি পতাকা বানানোর কাজ করেছেন। পতাকার দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ৯০ ফুট। এতে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও সোয়া তিন ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট ৪৭ থান সবুজ রঙের কাপড় এবং ১৭ থান লাল রঙের কাপড় ব্যবহৃত হয়েছে। এ বিষয়ে জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ সায়ীদ জানান , তাদের জানা মতে এখন পর্যন্ত এটি সর্ববৃহৎ জাতীয় পতাকা। পতাকা প্রদর্শনের পর তারা ডকুমেন্টসহ কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। তারপর স্বীকৃতি প্রাপ্তির জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন মর্মে জানান তিনি।