মানুষ হওয়ার নেশা

নবজাতকের বেশে এসেছিলাম সেদিন,
মেলেছিলাম ধরনীতে ডানা।
কোন কিছুর ক্লেশ ছিলো না,
পেয়েছিলাম মায়ের কোলে ভালবাসার সুধা ।

শৈশবে এসে হলো হাতেখড়ি,
জেগেছিলো হাজারো স্বপ্ন, ইচ্ছেঘুড়ি।
পাঠশালাতে বুলি ছিলো, সবার আমি ছাত্র,
বাস্তবে ছিলোনা কিছু,পেলাম জাতি,ধর্ম আর বর্ণে পার্থক্য।

কিশোর বয়স,নাজুক বয়স,ছিলো হাজারো আশা,
নিস্তব্ধ পৃথিবীর উজানকোলে ছেয়ে ছিলো নিরাশা।
ইশকুলের গন্ডি পেরিয়ে ভেবেছিলাম পুস্তক আর পুথি বিদ্যার ভাড় হাতে হবো মুক্ত।

বিলাসিতা আর স্বেচ্ছাচারিতার বদৌলতে সবাই চাপিয়ে দিলো ডাক্তার, ইনজিনিয়ার আর অর্থ কামানোর মন্ত্র।
যৌবনের সিড়ি বেয়ে অন্যের ইচ্ছাকে স্বপ্ন বানিয়ে দিলাম এক হানা,
নিজের স্বপ্ন ভেস্তে গেলো,তখনো কেউ করেনি মানা।
অন্যের স্বপ্ন স্বপ্ন পূরণ হলো,তাদের তবুও ফুরোই নাই আশা।

নিজের আর কিছুই ছিলো না,ছিলো না আর আশা,
শৈশব, কৈশর আর যৌবন সবই গেলো, থাকলো একরাশ নিরাশা।
সবার ইচ্ছেঘুড়ির লাটাই হাতে পূরনে ছিলাম ব্যস্ত,
সকলের তরে সকলে আমরা,এ কথাটাই ছিলো স্বর্থ।
ক্ষণিক সময় আর হাতে আছে,আছে এখনো মানুষ হওয়ার নেশা,
সব ফুরালে,আর পাবো না আমার হারানো স্বাধীনতা।