নাটোরের উত্তরা গণভবনে প্রবেশ করতেই দেখা মিলবে নতুন এক রূপের। ফুটন্ত ফুলগুলো জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্ত এসেছে। ফুলের মাতাল ঘ্রাণে খেলা করছে নানান রূপের মৌমাছি, প্রজাপতি।জানা যায়, নাটোর শহর থেকে প্রায় ২.৪ কিমি দূরে আঠারো শতকে নির্মিত হয় দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি। বর্তমানে এটি উত্তরা গণভবন যা ঢাকার বাইরে প্রধান মন্ত্রীর একমাত্র বাসভবন।১৯৭২ সালের ৯ ফেব্র“য়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিঘাপতিয়া রাজবাড়িকে উত্তরা গণভবন নামকরণ করেন।
আরো জানা যায়, ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছর সময় ধরে বিদেশি বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী ও চিত্রকর আর দেশি মিস্ত্রিদের সহায়তায় সাড়ে ৪১ একর জমির উপর রাজবাড়িটি নির্মাণ করা হয়। মোগল ও পাশ্চাত্য রীতির মিশ্রণে কারুকার্যময় নান্দনিক এই ভবনটি এক বিরল স্থাপনা হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্র“য়ারি এই ভবনের মূল প্রাসাদের ভিতর মন্ত্রীসভার বৈঠক আহবান করেন। সেই থেকে ভবনটি ‘উত্তরা গণভবনে’র প্রকৃত মর্যাদা লাভ করে। বর্তমানে এটি দর্শনার্থীদের জন্য দর্শনীর বিনিময়ে খুলে দেয়া আছে।
রাজশাহি থেকে উত্তরা গণভবন ঘুরতে আসা স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, বাড়ির কাছে এত সুন্দর ভ্রমণের স্থান আগে দেখা ছিলো না। তিনি মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও অসংখ্য ভ্রমণ পিপাসু এই সময়ে গণভবন দেখতে আসেন।
ঋতুরাজের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ এবং সার্বিক বিষয়ে পরিদর্শন করতে আসেন নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ।
জেলা প্রশাসক জানান, ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে উত্তরা গণভবন এক অপরূপ সাজে সেজেছে। বর্তমানের যে রূপ তা দেখে বিমোহিত হবেন দর্শনার্থী পর্যটকরা।
অসংখ্য প্রজাতির বাহারি ফুল গণভবনকে রূপসী করে তুলেছে। দেশ বিদেশের সকল ভ্রমণ পিপাসুদের উত্তরা গণভবনের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আমন্ত্রণ জানান জেলা প্রশাসক।