পাবনার চাটমোহরে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে পুকুর করা হচ্ছে ফসলি জমি কেটে। খননের ফলে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। সাধারন মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে কিভাবে এই বে-আইনি কর্মকাণ্ড চলছে। সরেজমিনে মঙ্গলবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তেবাড়িয়া ও জোদ্দার ভিটায় গিয়ে দেখা যায় পৃথক দুটি স্থানে ফসলি জমিতে ভেকু(এক্সভেটর) মেশিন দিয়ে প্রায় দশ বিঘা করে বিশ বিঘা ফসলী জমিতে পুকুর খননের কাজ চলছে।
এছাড়া উপজেলার গুনাইগাছা, নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল,পার্শডাঙ্গাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বভিন্ন স্থানে ফসলী জমি কেটে চলছে পুকুর খননের ধুম পরেছে। এ খনন করা পুকুরের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা সহ ইট ভাটায় ।
এলাকাবাসী জানায়-বিভিন্ন প্রলোভনে ফসলি জমি খনন করতে জমির মালিকদের উদ্বুদ্ধ করছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। জমির মালিক রাজি হলে ভেকু মেশিন দিয়ে খনন কাজ শুরু করছেন তারা। অল্প দিনে ফসলী জমির রুপ পরিবর্তন হয়ে পরিণত হচ্ছে পুকুরে। আর ফসলী জমিতে খননকৃত পুকুর তৈরির ফলে আশপাশের ফসলী জমির চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। পুকুর খননের মাটি পরিবহন করা হচ্ছে আশপাশের রাস্তায়। ফলে একদিকে মানুষের ব্যবহারের অনুপযোগী হচ্ছে রাস্তাগুলি,অন্যদিকে মাত্রারিক্ত ধুলা সৃষ্টি হওয়ায় বায়ু দূষণ ঘটছে। ফলে শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট জমির মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে পুকুর খননের কাজটা সেড়ে দিচ্ছেন মাটির ব্যবসায়ীরা। ফসলি জমি খননে জড়িত মাটি ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনলে বন্ধ হবে এই বে-আইনি ভাবে পুকুর খনণের মহা উৎসব এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম জানিয়েছেন,ফসলি জমি কেটে পুকুর খননের অভিযোগ পেলে সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।কোন ফষলী জমি কেটে পুকুর নির্মান করতে দেয়া হবে না ।