চাটমোহর প্রতিনিধি
আগামী ২৮ ডিসেম্বর পাবনার চাটমোহর পৌরসভার মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ আসনের কাউ ন্সিলর পদে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন সাখো মঙ্গলবার দুপুরে পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় গন সংযোগ করেছেন। গন সংযোগকালে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি নৌকা মার্কা প্রতীকে ভোট প্রাথনা করেন। এসময় দলীয় নেতা কর্মীরা তার সাথে ছিলেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এ্যাডঃ সাখাওয়াত হোসেন সাখো ১৯৭৯-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি, ১৯৭৯ সালে রাঃ বিঃ এস এম হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৬ সালে জাতীয় শ্রমিক লীগ চাটমোহর উপজেলা শাখার সভাপতি, ১৯৮৮ সালে চাটমোহর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক, ১৯৯০-১৯৯৩ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চাটমোহর উপজেলা শাখার সহ সভাপতি ও ভার প্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৩ সাল থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চাটমোহর উপজেলা শাখার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহন করেন তিনি। ১৯৮৬ সাল থেকে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত যে সকল নির্বাচনে আঃলীগ অংশ গ্রহন করেছে সেসকল নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন না পেলেও একাধিকবার তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র পদে মনোনয়ন পেলেও নানা প্রতিকূলতার কারণে নির্বাচিত হতে পারেন নি।
এ্যাডঃ সাখাওয়াত হোসেন সাখো মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। ছোট বেলা থেকে সম্পৃক্ত হন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে। এর পর কখনো শ্রমিক লীগ কখনো কৃষক লীগ সর্বশেষ প্রায় দুই যুগ যাবত চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে থেকে নের্তৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্যবার কারা বরণ ও করতে হয়েছে তাকে। সহ্য করতে হয়েছে জুলুম নির্যাতন। রাঃ বিঃ ছাত্র থাকা কালীন সময়ে ছাত্র শিবির হত্যা মামলায় তাকে বিশেষ সামরিক আইন আদালত-২ থেকে অন্যায় ভাবে ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত করা হলে সারা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ ফুঁসে ওঠে। তার মুক্তির দাবীতে দেশ ব্যাপী লাগাতার আন্দোলন সংগ্রাম অনশন অব্যাহত থাকে। শেষে জন নেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে তৎকালীন সামরিক সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বড় দুর্দিনে ১৯৮৩ সালে ছাত্রলীগ বিভক্ত হয়ে গেলে যমুনার উত্তর পাড়ের প্রায় অধিকাংশ ছাত্র নেতা মূল ছাত্রলীগের বিপরীতে অবস্থান নিলেও তিনি জীবন বাজী রেখে মূল ছাত্রলীগ গঠনে মনোনিবেশ করেন। এ কারণে তাকে অনেকের রোষানলে পরতে হয়েছে ও জীবনের উপর আঘাত এসেছে। চাটমোহরে রাস্তায় যখন জয় বাংলা বলার লোক ছিল না তখন এ সাহসী মানুষটি কয়েকজন সহযোগি নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে স্লোগান দিতেন। বিরোধী শক্তি বাধা দেবার সাহস পেত না। তেমন অসময় থেকে তিনি দলের পক্ষে নিরলস ভাবে কাজ কওে আসছেন। বিভিন্ন সামরিক সরকারের সময়ে তাকে শত প্রলোভন দেখালেও আদর্শচ্যুত হন নি তিনি। চাটমোহরের মানুষকে সাথে নিয়ে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক সামাজিক কর্মকান্ড পরিচলনা করে আসছেন।
এ্যাডঃ সাখাওয়াত হোসেন সাখো জানান, আমি বেশ কিছু দিন যাবত অসুস্থ্য ছিলাম। এখন ভোটার নেতা কর্মীদের সাথে নিয়মিত মত বিনিময় করে আসছি। ভোট প্রার্থনা করছি। গনসংযোগ কালে শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা ভোটারদের সামনে তুলে ধরছি। রাজনীতি করতে গিয়ে সংসার এমনকি নিজের জীবনের দিকেও তাকাই নি কখনো। আগামি নির্বাচনে চাটমোহর পৌর এলাকার জনগন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন এ আশা ব্যক্ত করছি। আমি দলের প্রতি, শেখ হাসিনার প্রতি অনুগত।