নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে:
উপজেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে বাগমারার বিভিন্ন গুরুত্ব¡পূর্ণ স্থান ও রাস্তাঘাট। উপজেলার সর্বত্রে এখন শোভা পাচ্ছে রং বে রং এর তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড। রাজশাহীর বাগমারায় দীর্ঘ সাত বছর পর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৪ নভেম্বর শনিবার ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেটে অবস্থিত অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল ও স্বার্থক করতে শুরু হয়েছে ইউনিয়ন/পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। বর্ধিত সভায় তৃনমূল থেকে উপজেলা পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত থাকছেন। সবার মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি উপহার দেওয়ার মাধ্যমে রাজশাহী জেলা তথা বাংলাদেশের মধ্যে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগকে একটি মডেল সংগঠন হিসাবে দাঁড় করাবার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলটির বর্তমান সভাপতি ও রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ সহ সর্বত্রই জনসমাগম ঘটে এমন স্থানে নির্মান করা হয়েছে বাহারিসব তোরণ সহ বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন আর পোষ্টার। তৃণমূল আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে এর অংগ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এগুলো নির্মান করা হয়েছে। উপজেলা জুড়ে প্রায় দেড় শতাধিক তোরণ নির্মান করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের শুভেচ্ছা জানাতে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের উপজেলা আওয়া লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হবে একটি কার্যকরী ও সুন্দর। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের পাঁচ শীর্ষ নেতা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য আব্দুর রহমান, বিশেষ অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও তথ্য মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা এবং সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। নানান কারণে এবার বাগমারা আওয়ামী লীগের সম্মেলন একটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। আওয়ামী লীগে ছাড়াও আপামর বাগমারাবাসীর কৌতুহল রয়েছে এই সম্মেলন ঘিরে। আর তা হলো কে হচ্ছেন এবারের সম্মেলনে বাগমারা আওয়ামী লীগের কর্নধার সভাপতি ও সম্পাদক। স্থানীয় তৃনমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ইঞ্জিঃ এনামুল হক ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সস্মেলনে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে প্রথম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ওই সম্মেলনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান চৌধুরী। তবে এবারে তিনি একক প্রার্থী হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মাঠে নামেননি। এদিকে ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক একক সভাপতি প্রার্থী হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে অনেকেই প্রচারনা চালাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে এবং জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে তোরণ, ব্যানার ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে । তবে নানান জল্পনা-কল্পনা কাটিয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর জানা যাবে কে হচ্ছেন বাগমারা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও পৌর আ’লীগের সম্মেলন। দলীয় সূত্র মতে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র মতে ১৮ সাংগঠনিক ইউনিট থেকে ৩১ জন করে মোট ৫৫৮ জন কাউন্সিলর নির্বাচন করা হবে। এর সাথে থানা কমিটির ৬৭ জন এবং কো-অপসনে ১৫ জন মিলে মোট ৬৪০ জন এবারের সম্মেলনে কাউন্সিলর থাকবেন। তারাই সভাপতি সম্পাদক নির্ধারিত করবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে। দলের বাইরের লোকজনের মাঝেও রয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। এ বিষয়ে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি বলেছেন, এবারের সম্মেলন হবে অনেক উন্নত অনেক বলিষ্ঠ সম্মেলন। গত ২০১৩ সালে আমরা যেটা করতে পারিনি। এবারের সম্মেলনে তৃণমূলের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। নতুন পুরাতন মিলে আমরা একটি চমৎকার কমিটি উপহার দিতে চাই। যারা মানুষ ও দেশের কল্যাণে কাজ করবে।সবঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করাই হবে এবারের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য।