নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের সুজনপালশা (আমপাড়া) গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে আমেদ আলী (৪৫) এর বিরুদ্ধে অভিনব কয়দায় যুবতী নারী দিয়ে প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ১০/১২ জন গ্রামবাসী বলেন, আমেদ আলী সু-কৌশলে এলাকার গরিব পরিবারের অসহায় অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে অভিনব কায়দায় প্রতারনা করে আসছে। আর এসব প্রতারনায় সে যুবতী নারীকে ব্যবহার করছে। তাদেরকে মোটা অংকের অর্থের লোভ দেখিয়ে এলাকার লোক জনকে ওই মেয়ের মাধ্যমে নানা ভাবে মামলায় ফেলা এবং অনেক পরিবারে মহিলাদের সাথে সম্পর্ক করে সেখান থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতানোই তার প্রতারনার কৌশল। এসব প্রতারনার ঘটনায় গত ২৬-০৯-২০ ইং তারিখের বাগমারা থানার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, আমেদ আলী সুজনপালশা (আমপাড়া) গ্রামের মজের আলীর ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে গত ২৯-০৮-২০ ইং তারিখে ৪,০০,০০০(চার লক্ষ) টাকার প্রলোভন দেন। বিনিময়ে প্রতিবেশী আফসার আলীর ছেলে আফজাল হোসেন (৩৮) এর বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী শিশু আইনে মামলা করতে বলেন। আমেদ আলীর এসব কথা মেয়েটি তার বাবা মাকে বললে বাবা মা প্রতিবেশী আফজালের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে রাজি না হলে আমেদ আলী ওই মেয়ের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন এবং পরিবারের লোকজনকে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। মেয়ের বাবা মজের আলী, আমেদ আলীর এসব কু-কর্মের কথা গ্রাম্য প্রধান মাস্টার নওশাদ আলী ও মজিবর রহমানকে বললে তারা আমেদ আলীর পরিবারকে অবগত করেন এবং এটির একটি সুরাহা করার চেষ্টা করলে আমেদ আলী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান । পরে সে পলাতক অবস্থায় থেকে অসহায় ওই পরিবারটিকে নানা ভাবে হুমকি প্রদান করতে থাকেন। এতে করে বিপাকে পড়ে মেয়ের বাবা মজের আলী। তারা নিরুপায় হয়ে সুজনপালশা গ্রামের মৃত পরেশতুল্লাহর ছেলে কছের আলী ও ঠাকুরপাড়া গ্রামের বাক্কার আলীকে সাক্ষী করে গত ২৬-০৯-২০ ইং তারিখে বাগমারা থানায় অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ করে কয়েকদিন পার হলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান অভিযোগকারী। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, আমেদ আলী একজন ভন্ড এবং প্রতারক। তার বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় মেয়ের সাথে প্রতারনা করায় একাধিক সাধারন ডায়েরী রয়েছে। সে সব সময় মেয়েদের নানা ভাবে প্রলোভন দিয়ে এলাকার অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। কিন্তু কেউই তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে সাহস পায়নি। তাই তারা আমেদ আলীর খুটির জোর কোথাই এমন প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সচেতন মহল। এছাড়াও সে এলাকার সাধারন মানুষকে মামলায় ফেলে নিজেই মামলার তদবির করেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। বাগমারা থানার তদন্তকারী অফিসার (এসআই) রিপন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঐ বিষয়ে তদন্তে গিয়েছি এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরে আমি কোর্টে আবেদন করেছি । আবেদনটি মঞ্জুর হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। এ বিষয়ে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ হয়েছে । যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।