প্রিয়তম মাতৃভূমি একটি উত্তরসূরী দাও


এনামুল হক টগর

হে প্রিয়তম মাতৃভূমি,হে প্রিয়তম জন্মভূমি,হে প্রিয়তম স্বদেশ ভুমি।
তোমাকে ভালোবেসে সেই কিশোরবেলায় কতো কবিতা লিখেছিলাম,
তরুণ যৌবনে তোমাকে ভালোবেসে কতো নাটক গান লিখেছিলাম,
মাঝবয়সে তোমাকে ভালোবেসে কতো ছোটগল্প আর উপন্যাস লিখেছিলাম,
এই শেষ বয়সে তোমাকে ভালোবেসে সময়ের প্রয়োজনে একটি চিঠি লিখলাম।
জাতির জন্য একটি উত্তরসূরী প্রয়োজন,একটি বিজ্ঞ ও দক্ষ উত্তরসূরী দাও।
তোমার আজন্ম যৌবনের প্রেম ও ভালোবাসা জ্বালাও আর অমৃত মৃত্তিকা থেকে দেশপ্রেমের দীপ্তিময় এক সাহসী যোদ্ধা দাও!
যে হবে ন্যায়পরায়ণ ও মহৎ আর্দশে অভিজ্ঞ উত্তরসূরী
ঠিক যেন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতোই প্রজ্ঞাবান দিশারী।
দেখছো না? লুটেরা ও দূর্বৃত্তরা আমাদের এই দেশ আর
এই প্রিয় মাটিকে গভীর আঁধারে আঁধারে ঢেকে দিতে চায় কি নিষ্ঠুর।
একদিকে মাদক দূর্নীতি সন্ত্রাস ক্যাসিনো আর ভয়াবহ জঙ্গিবাদ,
অন্যদিকে অর্ধমের কৌশল ও নাস্তিবাদের কাল্পণিক শ্লোগান বিবাদ।
এ-যেন আমিত্ব ও অহংকারের রোষে ধ্বংস হতে থাকে সময়ের স্থিতি!
কিন্তু আমরা চাই অধিকার আর বর্ণহীন ও ক্ষুধামুক্ত সাম্য নীতি,
অবিচার ব্যভিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে যে কবরে সাহসী প্রতিবাদ।
অযত্নে ও আঁধারে নিমজ্জিত জাতিকে যে দেবে চেতনা শান্তি সর্বদা,
স্বনির্ভর জীবন আর ধৈর্যশীল ও দানশীল ফসলের আবাদ।
বৃক্ষের শাখায় শাখায় ফুল ফোটাবে আর ফল ফলাবে শোভিত স্বাদ,
শিল্পের নগরে নগরে উৎপাদন করবে আধুনিক পণ্য
মানবতার সেবায় দেশ ও জাতি জেগে উঠবে দীপ্তময় ধন্য।
সমুদ্র ও নদীকে প্রগতির পথে প্রবাহিত করবে সুন্দর।
রাহমানের মহিমায় মহিমাম্বিত হবে তাঁর গবেষণার বিজ্ঞ জ্ঞান বিচার,
মহাপ্রেম থেকে মহাবিশ্বকে ভালোবাসায় আবদ্ধ করবে অবিস্মরণীয়।
দুঃসাহসিক অভিযানে বিজ্ঞানময় জ্ঞান দিয়ে পৃথিবীকে সাজাবে ডিজিটাল উদয়।
অতীন্দ্রিয় ললাটলিখন রহস্যভেদ নিগুঢ় থেকে নব নব রূপান্তর করবে সভ্যতার মহা-কল্যাণ আর ইতিহাস সব
সৃষ্টির অন্বেষণে জীবনকে মহা-চেতনায় বিকশিত করবে আলোয়।
অশান্ত যুদ্ধের কালো অস্ত্রঘাত আর শত্রুর বিষ লোলুপ হিয়া,
ভেঙে চুড়ে তছনছ ও ছারখার করে নতুন নির্মাণ করবে চিকিৎসালয়।
তখন প্রিয়তম জাতি আর তাঁর বংশধর ও উত্তরসূরীরা বলবে বিনয়,
তুমিই মহৎ দেশপ্রেমিক আর আর্দশ ও সভ্যতার মানব
স্বধীনতার মহানায়ক ও মহাবীর ফিরে এসেছে নিপুণ দক্ষ আদব।
আর্দশ জীবন সভ্যতা ও মহা-ভালোবাসার চেতনাময়।
যদিও বঙ্গবন্ধুর চলমান উত্তরসূরী দীপ্ত ও বিজ্ঞ সেবায়,
ন্যায়পরায়ণ ও মানবতার মমতায় মহৎ এক সেবক।
তাই জঙ্গিবাদ থেকে দূরে সরে যাও ওটা ইসলাম নয় মিথ্যা ঝলক।
ইসলাম হলো আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ আর তাঁর পরই শান্তি!
লুটেরা সন্ত্রাসী ও খুনির বিরুদ্ধ প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোল শাস্তি।
নইলে আস্তে আস্তে দেশ সমাজ ও জাতি হবে নিরুপায় ক্লান্ত,
আমিত্ব ও অহংকারকে ধ্বংস করে হৃদয়ে জাগাও দেশপ্রেম শান্তি।
তারপর জেগে ওঠো নিত্য ও নব নব আবিষ্কার মেধায়।
রিলিফ আর অনুদান থেকে এতিম গরীবের খাদ্য ও টাকা চুরি করো না নির্দয়।
সাবধান সাবধান সর্তক সংকেত মাদক ব্যবসায়ী জরুরী সাবধান,
কালো বৃত্তবানের গুলিতে প্রতিদিন অসহায়রা হচ্ছে খুন
ব্যভিচার ও মাতালের লালাবিষে প্রভাত সূর্য কিরণের আগেই
সুন্দর শোভিত ফুলগুলো ঝরে পড়ছে অশান্ত যন্ত্রণা ছাই।
এভাবে চলতে থাকলে কবি লেখক ও গীতিকাররা দগ্ধ হবে বেদনায়।
প্রিয় মাতৃভূমি,আমরা অপেক্ষায় ও আছি প্রতিক্ষায়।
একটি উত্তরসূরী দাও আর্দশ ও মহৎ ন্যায়পরায়ণ আগামী,
যে সব অন্যায় ও অপরাধকে পরাস্ত করে পুনরায় অন্তযামী!
জাতিকে নতুন প্রাণশক্তির রসদ দেবে অভাবমুক্ত জীবন,
গড়ে তুলবে শ্রেণিহীন ও বর্ণহীন আবাদের সু-ষমবন্টন খামার জাগরণ।
প্রতিহিংসা আর আধিপাত্যের সাম্রাজ্য গুড়িয়ে দেবে নিশ্চয়,
তখন সততার স্বকৃতি ও নতুন সংস্কারে দেশ হবে শান্তিময়।
শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষরা বলে উঠবে সাবাস
হাজার বৎসরের শ্রেষ্ঠ সন্তান আবার ফিরে এসেছে চেতনার নির্দেশ।
হে প্রিয়তম জন্মভূমি তোমাকে স্বাধীন করতে গিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞায়,
কতো ভাই কতো বোন কতো পিতামাতা ও স্বজন বন্ধুরা অভয়,
যুদ্ধে গিয়ে আর ফিরে আসেনি!এ যে কি বিস্ময় ব্যথা
একটি নোলক পড়া স্নেহের ছোট বোন ছিল সেথা
তাঁকেও আর খুঁজে পাইনি কি যে যাতনা
এই দেহের রক্ত এখনো অগ্নিশিখার মতো জ্বলে দাউ দাউ বেদনা।
তবুও এই ত্যাগের বিনিময়ে আমরা চাই দেশের শান্তি
প্রিয়তম স্বদেশ আমাদেরকে একটি উত্তরসূরী দাও প্রশান্তি,
ঠিক বঙ্গবন্ধুর মতোই মহা-দেশপ্রেমিক ও আর্দশবান শক্তিশালী,
যে অনেক যুদ্ধ হাহাকার পরিতাপের ভেতরেই ধৈর্যশীল
আর মর্যাদা ও গৌরবের মুকুট দেশ ও জাতিকে পড়িয়ে দেবে সম্মান শ্রদ্ধাশীল!
তারপর জাতির জন্য গড়ে উঠবে মহাকালের মহাসভ্য ইতিহাস।
গ্রাম ও নগরের প্রান্তর হবে আলোয় আলোয় আলোকিত অশেষ।
রাখাল রাজার সাম্য রাঁশীর ধ্বনিত হবে সুরের ঝংকার-
ধনী আর দরিদ্রের প্রেম ও ভালোবাসায় এক মহামিলন অধিকার।
স্বাধীনতার চেতনায় মার্চে আবার প্রতিধ্বনি হবে ভাষণ
রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো তবুও এই নতুন
এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ নিপুণ।
তখন নতুন সকালের দীপ্ত আলোতে জাতির কন্ঠে সদয়,
ধ্বনি আর প্রতিধ্বনি হবে অনাগত ও আগামীর সেবায়।
সবাই বলবে জাগো বাঙ্গালী জাগো বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু বীর,
আবার ফিরে এসেছে পুণজাগরণ ধ্বনি ও চেতনায় দিশারী।
প্রিয়তম জন্মভূমি প্রিয়তম মাতৃভূমি একটি মহৎ উত্তরসূরী দাও,
ঠিক জাতিক জনকের মতো ঠিক স্বাধীনতার মহানায়কের মতো একজন মহা-দেশপ্রেমিক জাগাও।