সোনা বন্ধুর পরিচয়

এনামুল হক টগর

সোনা বন্ধু আমার,তুমি জেগে উঠে আর চেয়ে দেখো।
রাতের জগত ও আসমান গভীর প্রেমে মগ্ন তাঁর আখী!
হৈচৈবিহীন নীরব তত্ত্বজ্ঞানে বিশ্বত্মা যেন নিশ্চুপ ত্রিভুবন
আমি আর তুমি শুধু প্রেমিকজন মুখোমুখি জাগি বিমগ্ন!
নিস্তব্ধ নিথর ও নিশীথ রাতের প্রহরে প্রহরে অতন্দ্র জ্ঞান,
জীবন যেন তিমিরাচ্ছন্ন গভীর বেদনা ও বিরহে খোঁজে আলোর জীবন!
স্মৃতি বিজড়িত কলা কৌশল ও অনাবিল প্রেমে দীপ্ত প্রাণ
আমাদেরকে ডাকে আর সাম্যকে জাগায় উদয় আহবান।
মানবের স্বরূপেই যেন স্রষ্টার স্বরূপে লুকানো ও গোপন পরিচয়।
মালাকুত শক্তির অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সদৃশ্য ও অবিভাজ্য স্থিতি অক্ষয়!
অনাদিতে মিশে অনন্ত মহাকালের দিকে এই প্রেমের যাত্রা তিথি অবিচল।
রহস্যময় এক স্বর্গীয় গুণরাজীর শান্তি ও আলোর দীপ্তিময় মিছিল-
আঁধারের মিলনেই হবে আমাদের সাক্ষাৎ ও অভিসারে জাগ্রত সকাল।
বার বার প্রেমস্পন্দন দিয়ে অবিস্মরণীয় করবে যোগ্যতা অনাদি!
প্রিয়তমা তুমি এই মৃত্তিকার গভীর খনিতে খনিতে ডুবরী বিস্ময় আদি।
ডুবে ডুবে নিজেকে স্বর্ণত্বের গুণাগুণে গড়ে তোল বিজ্ঞ!
আমি সাধনায় পুড়ে পুড়ে আমিত্ব ধ্বংস করে হই অভিজ্ঞ!
তারপর নিজেকে তৃতীয় স্তরের গুণাগুণে গড়ে তুলি সরল রত্ন।
এক সময় তোমার স্বর্ণত্ব গুণাগুণ আর আমার আমিত্বহীন কর্ম মিলনে হয় বিরল চন্দন।
তৃতীয় স্তরের গুণাবলীর ফানায় এক রং হয়ে জীবন হয় তত্ত্বজ্ঞানে সফল।
তুমি ধীরে ধীরে অক্সিজেন হয়ে বাতাসকে প্রশান্ত করবে দীর্ঘ প্রাণ শীতল!
আর আমি হাইড্রোজেন হয়ে তোমার সাথে মিশে যাবো তৃষ্ণার জল!
তারপর সোনা বন্ধুর ঐশ্বরিক প্রেমে মধুময় প্রশান্ত হবো আলোয় আলোয় অনাবিল।
কখনো মধ্যম স্তরে গিয়ে মেঘ থেকে পানি হবো বৃষ্টি হবো সুধাময়!
প্রবল বর্ষণে বর্ষণে নদী হবো মহা-সমুদ্রের হবো গোপন জ্ঞানে উদয়।
এই মহা-সমুদ্রই আমাদের যৌথ চেতনার লুকানো দর্শন মহাপ্রেম,
যা ভালোবাসার অনাদি অনন্ত ও মহামিলনে শেষ পরিচয়।
০৫/০৯/২০২০