সরকার গাইবান্ধা জেলার সকল উপজেলাকে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতায় শতভাগ ঘোষণায় করায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গ্রামে গ্রামে জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সুবিধাভোগীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করছেন। প্রতিবন্ধি সুবিধাভোগীরা অনলাইন প্রতিবন্ধি কার্ডের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সমাজসেবা অফিসে প্রতিনিয়ত উফঁছে পড়া ভিড় করছেন। যে সমস্ত নারী পুরুষ ভাতাভোগীর আওতায় পড়বেন তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানগণ মাইকিং করেছেন। অভিযোগ উঠেছে কিছু সংখ্যক অসাধুব্যক্তি অসহায় ভাতাভোগীর আওতায় আসারমত নারী পুরুষকে প্রত্যারণা করছে। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন সরকারিভাবে সুনিদিষ্ট নীতিমালার আলোকে প্রচার প্রচারণা দরকার। কথা হয় উপজেলার শান্তিরাম গ্রামের রহিমা বেওয়ার সাথে। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান মাইকিং করেছে জাতীয় পরিচয়পত্র তার কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য। আবার অনেকে বাড়িতে এসে জাতীয় পরিচয়পত্র চাচ্ছে তারা কার্ড করে দেবে। কোথায় জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিবে তা ভেবে পাচ্ছে না অনেকে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, জাতীয় পরিচয় পত্র ইউপি অফিসে জমা দেয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী দলীয়ভাবে কার্ড বিতরণের আশায় বিভিন ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছে। তিনি বলেন যে কেউ জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করুক না কেন ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। তিনি আরও বলেন ইউনিয়নের সম্ভব্য চাহিদার তালিকা সমাজসেবা অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নে অনেক সময় লাগবে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা গৌতম কুমার প্রমানিক জানান, চেয়ারম্যানগণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সম্ভব্য তালিকা সংগ্রহ করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নিদের্শনা মোতাবেক কাজ করা হবে।