চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলার বানভাসি মানুষের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে সরকার। উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়ন এলাকায় খোলা হয়েছে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র।
আজ শনিবার সারাদিন বন্যা উপদ্রুত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ।
শেরকোল ভাগনাগরকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চকপুর বিলভরট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণকালে সুবিধাভোগীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব সময় অসহায় মানুষের পাশে আছে। করোনা সংক্রমণকালের মানবিক সহায়তার পাশাপাশি বন্যা মোকাবেলায় কাজ করছে সরকার। বন্যা প্লাবিত এলাকাগুলোতে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া পরিবার বন্যা পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত থাকবেন। তাদের জন্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ না খেয়ে থাকবেনা, বিনা চিকিৎসায় কস্ট পাবেনা। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন শেষে বন্যার পানি নেমে গেলে শুরু হবে পুর্নাসন কার্যক্রম।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাসরিন বানু জানান, উপজেলায় ইতোমধ্যে চালু করা ২২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৮৪টি পরিবারের প্রায় দেড় হাজার সদস্য অবস্থান করছেন। উপজেলায় আরো ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, নাটোর জেলার বন্যার্ত মানুষের জন্যে ২৫০ টন চাল এবং ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষের দূর্দশা লাঘবে প্রশাসন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাবে।