শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সমশ্চুড়া গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোর আলমাছকে মিথ্যা চুরির অপবাদে পৈশাচিক নির্যাতন ও জেল হাজতে প্রেরণের প্রতিবাদে এবং বিচারকের ড্রাইভার আব্দুল মতিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ২৫জুলাই শনিবার সকালে এলাকাবাসীর আয়োজনে স্থানীয় সমশ্চুড়া বাজারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে কিশোর আলমাছকে নিঃশর্ত মুক্তি এবং ম্যাজিস্ট্রেটের ড্রাইভার মো. আব্দুল বাতেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, পোড়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ মিয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন, প্রতিরোধ যোদ্ধা মতিউর রহমান, পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তোতা মিয়া, যুগ্ন-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাংবাদিক রবিউল ইসলাম, সমশ্চুড়া উঃবিঃ সিনিয়র শিক্ষক রেজাউল করিম, আওয়ামীলীগ নেতা আজগর আলী, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন-সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নালিতাবাড়ী উপজেলার ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাওলা, এলাকাবাসীর পক্ষে জাহাঙ্গীর আলম, প্রত্যক্ষদর্শী বাবুল মিয়া ও নির্যাতিত আলমাছের বাবা আইয়ূব আলী প্রমূখ। এসময় এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার জনসাধারণ এবং মহিলাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, গত ২২জুলাই স্থানীয় হলদীগ্রাম চৌরাস্তা মোড় বাজারে এসএসসি পরীক্ষার্থী আলমাছ তার নিজের উৎপাদিত সব্জি বিক্রি করতে আসলে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে চুরির নাটক সাজিয়ে শেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ড্রাইভার ও হলদীগ্রাম নিবাসী মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল বাতেন এবং তার পরিবারের লোকজন শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। থানা পুলিশ আলমাছকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর সেদিনই আলমাছের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা নিয়ে তাকে শেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এব্যাপারে ওই শিক্ষার্থী আলমাছের পিতা মো. আয়ুব আলী বাদী হয়ে তার ছেলেকে নির্যাতনের বিচার ও সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম, ঝিনাইগাতী থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক, ওসি (তদন্ত) সরোয়ার হোসেনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে এ ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিচারকের ড্রাইভার হওয়ার সুবাদে, আব্দুল বাতেন দীর্ঘদিন থেকে সরকারি জমি বেদখল, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকার নিরহ লোকজনকে হয়রানিসহ নানাভাবে কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে বিচারকের ড্রাইভার আব্দুল বাতেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাহার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, “ আমার ও আমার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্র”। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান,“আমরা গুরুত্বের সাথে বিষয়টি তদন্ত করিতেছি এবং যাহা সঠিক আমরা সেটাই করবো”। কিশোর আলমাছের বাবা আইয়ূব আলী স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সুষ্ট তদন্ত ও ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়েছেন।