বীরগঞ্জে ছেলেকে আটকে রেখে বাবার কাছে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে ৫৫ হাজার টাকার রশিদ প্রদানের অভিযোগ।
উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের চাকাই গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল হাকিম লিখিত অভিযোগে জানান, নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেনের নির্দেশে সহকারী কমিশনার মোঃ ডালিম সরকার গত ১১ ও ১৮ জুন/২০২০ইং আমার বাড়ীতে দুই দফায় অভিযান চালিয়ে আামাকে না পেয়ে আামার ছেলে কলেজ ছাত্র মোঃ ফরহাদ হোসেন টুয়েংক্যালকে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে উল্লেখিত টাকা দাবি করে।
নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বলেন তোমরা পুকুরের মাটি কেটে প্রতিবেশীদের সমস্যা সৃষ্টি করেছ, তোমাদেরকে কয়েক দিন পূর্বে একবার জরিমানা করছি তবুও শিক্ষা হয়নি। তিনি এসিল্যান্ডকে বলেন, আবারও ৫ লাখ টাকা জরিমানা কর অন্যথায় জেল দিয়ে দাও। আমি সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রথম বার ৫ লাখ টাকা তাৎক্ষনিক চার জনের কাছে ঋন করে দিয়েছি, পরের বার আবারও ছেলেকে জিম্মি করায় ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি।
আমাকে ৫ লাখ টাকার স্থলে ৮৭/২০২০ইং হিসাব রশিদ নম্বর ০২৪৯৯৩৮ মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা তারিখ ১১.৬.২০২০ইং এবং ২য় দফায় ৫০ হাজার টাকার স্থলে হিসাব ১১৭/২০২০ইং হিসাব রশিদ নম্বর ০২৪৯৯৬৮ মোতাবেক ৫ হাজার টাকার রশিদ প্রদান করেছে। প্রশাসনের এমন অমানবিক কর্মকান্ড আমি সহ পরিবারের সকলেই হুমকিতে দিন যাপন করছি।