মা জননী


হৃদয়ের স্মৃতি, স্মৃতিপটে
মনে পড়ে অনেক কথা
ছোট ছি,নু তখন পাশের বাড়ির
চাচির উঠলো প্রসব ব্যথা।
মাটিতে করছে গড়াগড়ি আর লুটোপুটি
কখনো ধরছে ঘরের বারান্দার খুঁটি
একবার হারাচ্ছে স্বীয় জ্ঞান
চিল্লায় বলছে বাঁচাও মোর জান।
তখন জানা ছিল না কারো
আছে কোন ব্যবস্থা সিজারের
বাসিন্দা ছিলাম নিভৃত পল্লী গ্রামের।
না ছিল তখন আল্ট্রাসনোগ্রামের ব্যবস্থা
সে তো ষাট বছরের পুরনো কথা।
বলিল উবু,দিয়া বাচ্চা ধাতৃদের কেহ কেহ
কিছুক্ষণ পর পড়িয়া রহিল প্রসূতির মৃতদেহ।
এরকম হাজারো মা জননীর প্রসবের
সময় অকালে ঝরে গেল প্রাণে
এর হিসেব শুধু একমাত্র প্রভুই ভালো জানে।
মা জননী পেটে বাচ্চা নিয়ে কষ্ট করে যে কত
লেখনীতে বর্ণনা করিবার শক্তি নাই ততো।
দশ মাস ধরে গর্ভে রেখে সহে কত যাতনা
আহার নিদ্রা ঘুম কিছুই ঠিকমতো হয়না
‌ সন্তান প্রসবের পর কষ্ট যায় আরও বেড়ে
মল মাখা বাচ্চা কোলে রাখি
খাওয়ার কাজ ফেলে সেরে।
রাতের বেলায় বারবার বিছানা দিল পাল্টে
সন্তানকে তখন বুকে রাখে খুশিমনে আল,গে।
এত কষ্ট করেছেন যিনি
সে যে আমার মা জননী
মার মত আপন খুঁজে পাবে না
কা,কেও বুকে এই ধরণী।
কোরআনে আল্লাহ বলেন
” -মার সাথে কর সদাচরণ
অতি কষ্টে করেছে গর্ভে ধারন ‘
“”দু’বছর পর্যন্ত দুধ খাওয়াইছে নিয়ে তোমায় বুকে “
আজ তাকে তুমি কষ্ট দাও তার কোন দোষে ?
হাদিসে বলে
“হে সন্তান জেনে রাখ এই দুনিয়ার বিচে
বেহেশত্ তোমার অপেক্ষামান মা,র পায়ের নিচে।”
এখনো বেঁচে আছেন ৯০ বছরের মা জননী
দোয়া করবেন সকল বন্ধুবান্ধব ভাই বোন ভগ্নী।