চাটমোহরে ব্যক্তি উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার

পাবনার চাটমোহরের মথুরাপুর ইউনিয়নের তেনাচিরা থেকে গারফা ভায়া কাটাখালী সড়কের ডিবি গ্রাম ইউনিয়নের কাটাখালী বাজার থেকে কান্দিপাড়া হয়ে গারফা পর্যন্ত পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। রাস্তাটি প্রয়োজনের তুলনায় সংকীর্ণও। এ রাস্তার উপর দীর্ঘদিন পূর্বে নির্মিত তিনটি ব্রীজ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় উপনীত হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে এ রাস্তায়। সপ্তাহে দুই দিন কাটাখালীতে হাট বসে। এ হাটে অন্যান্য জিনিষের পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার রসুন ক্রয় বিক্রয় হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এ হাটে রসুন কিনতে আসেন। ট্রাক, করিমন, ভুডভুডি যোগে এসব রসুন সরবরাহ করা হয় দেশের অন্যান্য এলাকায়। চাটমোহর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার এ সড়কে সরকারী উদ্যোগে গত চার বছরে সংস্কার কাজ হয় নি। চলাচলের অনুপযোগি হওয়ায় প্রায়শই এ রাস্তায় ও ভাঙ্গা ব্রীজে ঘটছে দূর্ঘটনা। দূর্ঘটনা রোধ কল্পে এবং যানবাহন যাতায়াত সহজতর করতে এলাকাবাসী প্রায় তিন চার বছর যাবত রাস্তাটি নিজেরাই অর্থায়ন করে শ্রম ঘাম দিয়ে সংস্কার করে আসছেন।
এ সংস্কার কাজে অর্থায়ন করেন রসুন ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। তাদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন আলোকিত কাটাখালী নামক একটি ফেসবুক গ্রæপের সদস্যসহ এলাকার তরুণ যুবকেরা। কাটাখালী রসুন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল বারিক সরকার ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান জানান, শুক্রবার ও সোমবার হাট হলেও সপ্তাহে চার দিন এখানে রসুন কেনা বেঁচা হয়। সপ্তাহে অন্তত ছয়-সাত হাজার মন রসুন বেঁচা কেনা হয় এ হাটে। রাস্তাটির সংস্কার কাজ না হওয়ায় আমরা রসুন ব্যবসায়ীরা বার বার এ রাস্তা সংস্কার করতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা এ রাস্তাটি অতি দ্রæত সম্প্রসারণ ও সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ইউপি চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লা জানান, রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার হয় না। বেশ খারাপ অবস্থায় উপনীত হয়েছে। এলাকাবাসী বার বার সংস্কার করে কোন রকমে চলাচল করছে। রাস্তাটি অতি দ্রæত সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি কান্দিপাড়া ব্রীজটিও ভগ্নদশায় আছে। এ ব্রিজটি সংস্কার করাও আশু প্রয়োজন। চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী রাজু আহম্মেদ জানান, গত বছর এ রাস্তা সংস্কারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। প্রস্তাব অনুমোদন না হওয়ায় সংস্কার কাজ করা সম্ভব হয় নি। প্রস্তাব পাঠানো আছে; আশা করছি আগামি অর্থবছরে এ রাস্তা ও ব্রীজের সংস্কার কাজ হবে।