চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বয়স্ক টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন সাকিব আল হাসান। যেই রেকর্ডে কোনো বীরত্ব নেই। আছে সময় ফুরিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস। সত্যিই কি সময় ফুরিয়ে যেতে চলেছে সাকিবের। এক সময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স দেখলে সেই প্রশ্ন এখন তোলায় যায়।
চেন্নাই টেস্টে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে সব খানেই ব্যর্থ সাকিব। রান পাচ্ছেন না বেশ লম্বা সময় ধরেই। ভুগছেন চোখের সমস্যাসহ বেশ কিছু জটিল সমস্যায়। এরপরও খেলে যাচ্ছেন তিনি। এই সাকিবকে কি বাদ দেওয়ার কথা ভাববে টিম ম্যানেজমেন্ট। চেন্নাই টেস্ট শেষে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। যে প্রশ্নকে সাহসী প্রশ্ন বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন তিনি।
চেন্নাই টেস্টে দুই ইনিংস মিলে ২১ ওভার বোলিং করেছেন সাকিব। কোনো উইকেট পাননি। রান খরচ করেছেন ইকোনমি ৬-এর বেশি। প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৩২ ও ২৫ রান। জীবন পেয়েও পারেননি ইনিংস বড় করতে। ফিল্ডিংয়েও সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকক্ষ—সব জায়গাতেই হচ্ছে সমালোচনা। তাই প্রশ্ন উঠেছে সাকিবকে বাদ দেওয়া নিয়ে।
যেই প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে সত্যি কথা বলতে, আমি যে জিনিসটা দেখি সাকিব ভাই বলে বলছি না। আমি যেটা দেখি, সে কতটুকু কষ্ট করছে। ফেরার জন্য যা যা করা দরকার, সে কাজগুলো করছে কিনা? দলের প্রতি তার নিবেদন ইনটেনশনগুলো কি রকম। এই জিনিসগুলো আমি খেয়াল রাখি।’
দলের ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি ও আত্মনিবেদন নিয়ে শান্ত বলেন, ‘এক নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিকুর রহিম ভাই পর্যন্ত এই জিনিসটা (দলের প্রতি আত্মনিবেদন) দেখার চেষ্টা করি। রান করছে বা রান করছে না, এটার চেয়ে তার প্রস্তুতি অথবা দলের প্রতি চিন্তা ভাবনা কেমন-এগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। সে দলকে ভালোবেসে সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না? দলে ১৫-১৬ খেলোয়াড় আছে তাদের প্রস্তুতি ও আত্মনিবেদন দেখে আমি সন্তুষ্ট।’