ঈশ্বরদী ॥ সরকারী চাকরী দেওয়ার নামে প্রতারনার মাধ্যমে সাড়ে চার লাখ টাকা আত্সসাতকারী একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের আরও টাকা দাবি এবং প্রাণ নাশ ও অপহরণের হুমকি দেওয়ার বিচার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঈশ^রদী উপজেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে চাটমোহর হরিপুরের সংখ্যালঘু রতন কুমার সরকার ও পৌর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী আব্দুস সাত্তার সাংবাদিক সম্মেলনে পৃথকভবে লিখিত বক্তব্য দেন। রতন কুমার সরকার তার বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে মানিক কুমার সরকারকে প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পে প্রাণী সম্পদ মাঠ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম,মথুরা পুরের আব্দুস সাত্তার ও প্রকল্প পরিচালক কাজী ওয়াছি উদ্দিনের তৎকালিন গাড়ি চালক সুজন সিন্ডিকেট করে রতন কুমার সরকারের নিকট থেকে সুকৌশলে নগদ চার লাখ পঁঞ্চাশ হাজার টাকা নেওয়ার পর প্রতিশ্রুতিমতে সরকারী দেয়নি। উল্টো আরও পাঁচ লাখ পঁঞ্চাশ হাজার টাকার দাবি করছে। দাবিকৃত টকা না দিলে আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করছে। একইভাবে অপর ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, ঐ সিন্ডিকেট সদস্যরাই আমার ছেলে আব্দুল কাদের আল পারভেজকে একই পদে সরকারী চাকরীতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য গত ১৫.১২.২০১৯ ইং তারিখে নগদ ষাট হাজার টাকা,ঢাকা ব্যাংকের সাক্ষরিত চেকের দুটি পাতা ও সাক্ষর করা তিনশত টাকার একসেট সাদা ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে আমার ছেলেকে সরকারী চাকরী না দিয়ে প্রতারনা করেছে। এখন উল্টো আমার নিকট থেকে আরও তিন লাখ টাকা দাবি করছে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ,গুম ও খুন করার হুমকি দিচ্ছে। ভুক্তভোগী দু’জনই ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেছেন। এছাড়াও বক্তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, চাটমোহরসহ জেলার অন্যান্য এলাকাতেও আমাদের ন্যায় প্রতারিত অনেকেই আছেন যারা প্রাণ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না। উপরন্ত তারা সুষ্ঠ বিচারের আশায় ও সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দূর্ণীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর গত ২৩.০৬.২০২০ ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্তদের কাছে জানতে চাওয়া হলে, সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী রতন কুমার সরকার ও আব্দুস সাত্তারের দেওয়া বক্তব্য মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন গাড়ি চালক সুজন ও মথুরাপুরের আব্দুস সাত্তার। তবে মূল অভিযুক্ত ফরিদপুরের উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে বার বার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি কল গ্রহণ না করে ফোনটি বন্ধ করে দেন।