মহামারী দূর্ভিক্ষ ও বিপন্ন বৈশাখে

এমামুল হক টগর

আমি তোমাদের মধ্যে আবার ফিরে এসেছি নতুন,
মহামারী দূর্ভিক্ষ দুর্যোগ ও এই বিপন্ন বৈশাখে স্বজন
সময়ের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে দৃঢ় ও দক্ষ বিপ্লবী নিপুণ।
আমি এই পৃথিবীর গ্রাম নগর ও বাংলায় ফিরে ফিরে আসি মহৎ সেবায় সংস্কারক,
আমি দক্ষ শ্রমজীবী ও কর্মজীবী আর সময়ের নব নব নির্মাণ কল্যাণে দিশারী আলোক।
আমি এই জন্মভূমির মৃত্তিকা আর পৃথিবীর পথে পথে নতুন চেতনায় এক মহা-সংগ্রামী।
আমি দীপ্ত দেশপ্রেমিক জনম জনম কর্ম করি মানবতার মহত্ব আগামী,
অধিকার আদায়ের মিছিল করি ন্যায়পরায়ণ জীবনের বাস্তব সাম্য দাবী,
আমি মুহূর্তে মুহূর্তে জেগে উঠি সন্ত্রাস দূর্নীতি মাদক ও লুটেরা বিরোধী সৈনিক স্বভাব।
আমি জনপদ ও রাজপথে ক্ষুধামুক্ত মানুষের ন্যায়পরায়ণ অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত শ্লোগান শান্তির।
আমি আহত বিক্ষত ও বেদনায় ব্যথিত জীবন দীপ্ত আলোর ইতিহাস শান।
সংস্কার যুদ্ধে শহীদের তালিকায় আমার নাম ওঠে বার বার বিদগ্ধ প্রাণ!
আমি শহীদ মিনার আর মুক্তিযুদ্ধের মাইলফলক ও স্মৃতিশৌধের মুক্ত আহবান।
আমি এখনো বৈশাখী বিকেলে নদীরপাড়ে বাঁশি বাজায়
অমৃত প্রিয়তম কিশোরী সখির নতুন আগমন প্রতিক্ষায়।
আমি ইতিহাসের মহাবীর ও দক্ষ চেতনা আগামীর মহাকাল!
আমি যুগে যুগে ও বহুবছর পর কালের ক্ষত বিক্ষত বেদনা ভাঙা সাহসী রাখাল।
অন্যায় অবিচার ব্যাভিচার আর জুলুমের বিরুদ্ধ জেগে উঠি সাহসী বিপ্লবী।
আমি নতুন রূপান্তরে নব নব যুদ্ধ করি ন্যায়পরায়ণ ও মানবতার মহান গৌরব।
আমি অতীতে মাতৃভাষার রক্তঝরা আন্দোলনে লড়েছি সময়ের দেশপ্রেমিক।
আমি তরুণ যৌবনে মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত গ্রাম নগর ও বাংলার প্রেমে জাগরণ অধিক।
আমি মহান স্বাধীনতার স্থপতি ও রাখাল রাজার প্রিয় উত্তরসূরী আলোক।
আমি পুনরায় আরেকটি অর্থনৈতিক যুদ্ধের মুক্ত বার্তা বহনকারী আলোর ঝলক।
নতুন দিনের বিপ্লবী আর সাম্য চেতনার নিপুণ মাঝি সামনে পাড়ি দেবো অনন্ত পুলসিরাত!
আমি বরযখের ইল্ল্যীয়ন ও সিজ্জিনের মধ্যবতী রহস্য জ্ঞানের দিন ও রাত।
আমি আত্মজগত থেকে বার বার উদ্ভাসিত হই জীবন্ত মানব ও মহা-সংগ্রামী।
আমি পৃথিবী পথে পথে হেটে যাই আর নতুন ফুল ফুটাই সুন্দর আগামী।
আমি কালে কালে শোষিতদের কথা ভেবে ভেবে থমকে দাঁড়াই শস্যের নব নব ভূমি।
আমি আগামীর পথে পথে লড়াই করি আধুনিক সেবা ও সদ্য কল্যাণের।
আমি সমকালের ডিজিটাল আলো ছড়াই দিকে দিকে জনতার সমান অধিকার।
আমি বিশ্ব-মানবতার জননী দেশরত্ন ও স্বদেশ
নক্ষত্রের অনাগত আলোর পরষ্পরা!
আমি নিপুণ সংস্কার সমন্বয়ের চেষ্টা করি মহাচৈতন্যের আলোকিত মুক্ত দ্বার।
আমি অসৎ আমলা পুঁজিবাদ ও ভণ্ড রাজনীতিবিদদের রুখে দেই দূর্বার।
আমি নিষ্ঠুর ও নির্মম আঘাতে আঘাতে ধ্বংস ও চুরমার করে দেই আমিত্ব বড়াই ও অহংকার।
আমি প্রতিরাতে চন্দ্র ও নক্ষত্রের সাথে জাগে উঠি ওই দূর আসমান,
আমি দাউ দাউ প্রতিঘাত ও প্রতিরোধকারী অগ্নি শিখা নিয়মের বিধান।
আমি রাত শেষে নতুন প্রভাতের উদয় সূর্যকিরণ ছোট পাখির সোনালী দিন,
আমি দূর পৃথিবীর প্রান্তরে প্রান্তরে হেটে যাই দৃঢ় দীপ্ত প্রত্যাশার অমিত সুদিন।
আমি ইতিহাসের এক নব্য আবিষ্কারক ও প্রগতির দক্ষ নিপুণ কারিগর।
যেখানে অন্যায় লুটেরা মাদক দূর্নীতি সন্ত্রাস ব্যভিচার,
সেখানেই আমার নতুন জন্ম যুদ্ধ আর রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম বিজয় শিখর।
আমার সাথে জেগে ওঠে নজরুল সুকান্ত আর শামসুর রাহমান,
কালে কালে জেগে ওঠে লালন শাহ ও রবি ঠাকুর ও তাঁর গান।
আরও জেগে ওঠে আমার পূর্বপুরুষের পরস্পরা যোদ্ধা মহা-দেশপ্রেমিক তিতুমীর,ঈসা খাঁ,শের-ই বাংলা, মাওলানা ভাসানী সরোওয়াদী বন্ধু!
সাথে সময়ের হাজারও বীর যোদ্ধার চৈতন্যময় সুদূর
আমি সময়ের আধুনিক সংস্কার যুদ্ধে জেগে উঠি প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ,
আমি সমগ্র বাংলার ন্যায়পরায়ণ নিপুণ দক্ষ প্রকৌশলী অশেষ।
আমি ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের দীপ্ত জয়গান।
আমি যুদ্ধ শেষে বীরাঙ্গণা বাঁশীর সুর ও গানের চেতনায়
নতুন ফসল ফলানো কৃষাণ,
আমি কখনো কৃষাণীর রূপ ধরে পৃথিবীতে সংসার বেঁধেছি বার বার,
আমি শতকের পর নতুন শতাব্দীতে মধুময় রাখালের সুরেলা বাঁশি সবার।
আমি প্রেমশিখা পরম আনন্দ ও স্বর্গ স্থিতি শান্তির
আমি অমরত্ব গ্রাম নগর ও বাংলার পথে পথে নতুন সনাতন আর আগামীর!
আমি সাগর পাড়ি দেওয়া নিপুণ অভিজ্ঞতায় দক্ষ মাঝি
আর প্রজ্ঞাময় এক নাবিক!
আমি যুদ্ধু ও কর্ম শেষে চলে যাই দূর বহুদূর ওই আসমান ঠিকানায় রহস্যময় তাত্ত্বিক!
মনে রেখো জুলুম অন্যায় সন্ত্রাস লুটেরা ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে আমি,
প্রতিবাদী ও ন্যায়পরায়ণ যোদ্ধা আর সাহসী সংগ্রামী।
আমি বার বার ফিরে ফিরে আসি অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করি কঠিন।
আমি প্রতিটি ঘাটে ও বন্দরে নোঙর করি মহাসাম্যের বন্দনা ও তপস্যার আর্দশ দ্বীন!
আমি বার বার ফিরে ফিরে আসি আমি বার বার ফিরে ফিরে আসবো!
আমি মহামারী দুর্যোগ দূর্ভিক্ষ ও বিপন্ন দুর্দিন আর বৈশাখী ঝড় তুফান বার বার পাড়ি দেবো,
আমি আমার এই মাতৃভূমি স্বদেশ বাংলা আর পৃথিবীর মাটিতে জেগে থাকি জীবন্ত সজিব।
৩০/০৬/২০২০