বেগানা ছেলে-মেয়ে বা নারী-পুরুষের প্রেম-ভালবাসা নাজায়িয ও হারাম

বেগানা ছেলে-মেয়ে বা নারী-পুরুষের প্রেম-ভালবাসা করা জায়িয নয়। তা হারাম ও কবীরা গুনাহ। তেমনি তাদের মোবাইলে বা সরাসরি এ সংক্রান্ত কথাবার্তা বলা, দেখা-সাক্ষাত করা কিংবা চিঠিপত্র বা মেসেজ কিংবা ছবি আদান-প্রদান করা অথবা মনে একে অপরকে নিয়ে কল্পনা করা প্রভৃতি সবই নাজায়িয ও হারাম। এভাবে দু’জনের বিবাহপূর্ব ডেটিং বা একসাথে বেড়ানো কিংবা পার্কে বা রেষ্টুরেন্টে দু’জনে মন দেয়া-নেয়া করা বা সেই জাতীয় কথাবার্তা বলা অথবা একে অপরকে কোনভাবে স্পর্শ করা সম্পূর্ণ কবীরা গুনাহ ও হারাম কাজ। তেমনিভাবে পরকিয়া প্রেম জঘন্য কবীরা গুনাহ ও মহাপাপ।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন–

وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلاَ مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ

“তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়।” (সূরাহ মায়িদা, আয়াত নং ৫)

হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন–

اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظْرُ وَالْاُذُنَانِ زِنَاهُمَا الْاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُمَا الكَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهُمَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهُمَا الخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوِىْ وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَالِكَ الْفَرْجُ اَوْ يُكَذِّبُه

“দুই চোখের ব্যভিচার হল–(বেগানার দিকে) দৃষ্টিপাত করা, দুই কানের ব্যভিচার হল–(বেগানার) কথা শোনা, যবানের ব্যভিচার হল–(বেগানার সাথে) কথা বলা, হাতের ব্যভিচার হল–(বেগানাকে) স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হল–(বেগানার দিকে) পা বাড়ানো এবং অন্তরের ব্যভিচার হল–কামনা-বাসনা করা ও কল্পনা করা আর গুপ্তাঙ্গ তা সত্য অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৫৭)

অপর হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন–

لا يخلون أحدكم بامرأة، فإن الشيطان ثالثهما.

“তোমাদের কেউ যেন (বেগানা) নারীর সাথে একান্তে মিলিত না হয়। কেননা, তখন শয়তান তাদের তৃতীয়জন হিসেবে উপস্থিত হয় (এবং তাদের মাঝে পাপাচার সংঘটিত করে)।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১১৪)