আমি বার বার ফিরে ফিরে আসি


এমামুল হক টগর

আমি বার বার তোমাদের মাঝে ফিরে ফিরে আসি কর্ম চেতনায় নতুন!
আমি সময়ের প্রতিবাদ প্রতিরোধে দৃঢ় ও দক্ষ বিপ্লবী আগামীর কল্যাণ আহবান ধ্বনি।
আমি এই গ্রাম নগর ও বাংলার পথে পথে আর সুদূর পৃথিবীর প্রান্তরে প্রান্তরে,
সদ্য নির্মাণ ও উৎপাদন করি আর দীপ্ত আলো জ্বালাই নিপুণ শ্রমজীবী এক সংস্কারে!
জন্মভূমি আর পৃথিবীর দিকে দিকে আমি সভ্যতার বীজ বপন করি কর্মজীবী মহা-সংগ্রামী।
দীপ্ত চেতনায় তরুণ যুবক আমি জনম জনম শ্রম দেই মানবতার সেবায় আগামী।
আমি অধিকার আন্দোলনের এক মহা-বিপ্লবী ও ন্যায্য দাবী আদায়ের মিছিল চেতনায় দীপ্ত।
আমি মুহূর্তে মুহূর্তে জেগে উঠি সন্ত্রাস দূর্নীতি মাদক ও ক্যাসিনো বিরোধী যুদ্ধ নীতি।
আমি জনপদ ও রাজপথে সময়ের নতুন চেতনায় বাস্তবতার দৃঢ় শ্লোগান সুগতি।
আমি আহত বিক্ষত বেদনায় ব্যথিত নতুন নতুন নিত্য ইতিহাস করি রচনা।
সংস্কার যুদ্ধে শহীদের তালিকায় আমার নাম লিখা হয় নব নব আদি প্রচীন ও সনাতন!
আমি শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের মাইলফলক স্মৃতিশৌধের সুদূর অনাগত বিশাল চৈতন্য!
আমি ইতিহাসের মহাবীর ও দক্ষ চেতনায় অবরোহ উত্তপ্ত আবার সুশান্ত মহাকাল!
আমি যুগে যুগে ও শতকে শতকে আর সহস্র বছরের যুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষত বিক্ষত বেদনায় অনল!
আমি অন্যায় অবিচার ব্যভিচার আর জুলুমের বিরুদ্ধ জেগে উঠি প্রবল সংগ্রামী দীর্ঘকাল।
আমি নতুন রূপান্তরে লড়াই করি ন্যায়পরায়ণ আর ছিনিয়ে আনি মানবতার নব নব সকাল!
আমি অতীত মাতৃভাষার অধিকার আন্দোলনে লড়েছি আজন্ম বাংলার দেশপ্রেমিক।
আমি তরুণ যৌবনে মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গণে রক্তাক্ত গ্রাম ও নগরের শেষ সম্বল সভ্যতার বিবেক!
মহান স্বাধীনতার স্থপতি ও রাখাল রাজার পরষ্পরা আন্দোলন চৈতন্যের দীপ্ত উত্তরসূরী।
আমি পুনরায় আরেকটি অর্থনৈতিক যুদ্ধের মুক্ত বার্তা বহনকারী মহা-সময়ের।
আমি নতুন দিনের বিপ্লবী ও সাম্য চেতনার দৃঢ় দীপ্ত কালের দক্ষ মাঝি বহমান।
আমি বরযখের ইল্ল্যীয়ন ও সিজ্জিনের মধ্যবতী রহস্যের গোপন ভেদ চৈতন্যের এক প্রাণ!
আমি দুর্দিন দুর্যোগ দূর্ভিক্ষ ও অশনি ভাইরাস আর মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সফল মিলিত হই অনির্বাণ শিখার মাশুক স্তরে বিভোর।
আমি পৃথিবীর পুলসিরাত পাড়ি দেই আর পরকাল মুক্তির পথে পথে দীনের কাজ করি সরল বিশ্বাসী।
আমি কালে কালে শোষিতদের জীবন যন্ত্রণার কথা শুনে শুনে থমকে দাঁড়াই সংস্কার মহা-সাহসী!
আমি আগামী জীবনের কল্যাণে লড়াই করি আধুনিক সেবা ও সভ্যতায় নতুন আর্দশ।
আমি সমকালের সভ্যতা ও মানবতার ডিজিটাল আলো জ্বালাই ও আলো ছড়াই প্রজ্ঞা সুদূর।
আমি অসৎ আমলা সন্ত্রাস ও ভণ্ড রাজনীতিবিদদের
রুখে দেই নির্মম আঘাতে আঘাতে করি ধ্বংস চুরমার।
আমি প্রতিরাতে চন্দ্র ও নক্ষত্রের সাথে জেগে উঠি এক আসমানী ফৌজ দৃঢ় দীপ্ত জাগরণ।
আমি দাউ দাউ প্রতিঘাত ও প্রতিরোধকারী অগ্নি শিখার অনল তীব্র দহন।
আমি রাত শেষে নতুন প্রভাতের উদয় সকাল সূর্যকিরণ
আমি দূর পৃথিবীর প্রান্তরে প্রান্তরে হেটে যাই সদ্য নিপুণ
আমি দৃঢ় দীপ্ত ইতিহাসের এক নব্য সংস্কারক ও প্রগতির দক্ষ নির্মাণ কারিগর।
যেখানে অন্যায় মাদক নেশা দূর্নীতি সন্ত্রাস ব্যাভিচার
সেখানেই আমার জীবন জন্ম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর শান্তি গড়ে তুলি ন্যায়ের।
আমার সাথে জেগে ওঠে নজরুল সুকান্ত ও শামসুর রাহমান,
আর কালে কালে জেগে ওঠে বাউল শিল্পী ও বিশ্ব কবি রবি ঠাকুর সম্মান।
আমি ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আর অমর ভাষা সৈনিকের দীপ্ত জয়গান।
আমি যুদ্ধ শেষে বীরাঙ্গণা বাঁশীর সুর ও গানের চেতনায়
কৃষাণ ও কৃষাণীর রূপ ধরে পৃথিবীতে সংসার বাঁধি প্রকাশ্যে ও গোপনে পরিচয়!
আমি শতকের পর নতুন শতাব্দীতে এক মেষপালক রাখালের অনুসারী প্রেমময় সুরেলা বাঁশি!
আমি দীপ্তশিখা পরম আনন্দে আর স্বর্গ শান্তির স্থিতিতে অমর অক্ষয় মিশে যাই দীনে অশেষ ।
আমি সাগর পাড়ি দেওয়া নিপুণ অভিজ্ঞতায় এক প্রজ্ঞাময় অবিস্মরণীয় নাবিক বিশেষ।
আমি শরিয়ত তরিকত হাকিকত ও মারফত জ্ঞানে
শায়েখ চৈতন্যের সালেক স্তরে,
আহাদ আহমদ নূর থেকে প্রাণ ফিরে পাই বার বার!
আমি কর্ম শেষে চলে যাই ওই দিগন্ত আসমান ঠিকানায় বহুদূর!
মনে রেখো জুলুম অন্যায় সন্ত্রাস ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে
আমি প্রতিবাদী ও ন্যায়পরায়ণ আর সাহসী সৈনিক মহাবীর যোদ্ধা।
আমি বার বার ফিরে ফিরে আসি জুলুমের বিরুদ্ধ এক কঠিন জেহাদী সাম্যনীতি।
আমি প্রতিটি ঘাটে ঘাটে ও বন্দরে বন্দরে নোঙর করি সমান অধিকার চেতনায় সুগতি।
আমি বার বার ফিরে ফিরে আসি আমি বার বার ফিরে ফিরে আসবো!
এই পৃথিবী এই মৃত্তিকা আর এই স্বাধীন বাংলার গ্রাম ও নগরের দিকে দিকে মমতায় সজিব।