কামরুল হাসান, টাংগাইলে পতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা এলাকার সিংগাইর গ্রামে মুনসুর আহমেদের বাড়ি থেকে আঃ সামাদ মাস্টারের পুকুরপাড় পর্যন্ত রাস্তা। যা বল্লা যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পথ, অবৈধভাবে দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ রাস্তা দিয়ে ছয়-সাতটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হলেও ওই এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে জামাল এটি দখল করে রেখেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জামাল ওই রাস্তার একটি বড় অংশ নিজের সম্পত্তি বলে দাবি করে দখলে রেখেছেন। এতে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা এবং বাজারে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
এক গ্রামবাসী বলেন, “জামাল রাস্তা দখল করে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছেন। প্রতিবাদ করলেই মামলা করে হয়রানী করে এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়। আমরা অনেকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাইনি।
উপজেলার ৯নং বল্লা ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে সিংগাইর গ্রামে মুনসুর আহমেদের বাড়ি থেকে আঃ সামাদ মাস্টারের পুকুরপাড় পর্যন্ত ইট সলিং রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের আওতায় ১,৫০,০০০ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি ২০২৪-২০২৫ এ বাস্তবায়িত হওয়ার কথা থাকলেও জামাল তা উপেক্ষা করে রাস্তা দখল করে বাধা সৃষ্টি করে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরে প্রতিকার না পেয়ে ২৩ নভেম্বর দুপুড়ে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে রাস্তা দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। তারা অবিলম্বে রাস্তা দখলমুক্ত করার দাবি জানান।
স্থানীয় মেম্বার হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা তাকে বারবার অনুরোধ করেছি, কিন্তু তিনি কোনো কথাই শোনেননি। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদে নেমেছেন। আমরা আশা করি, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।”
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসী এ সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত জামালের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী আশাবাদী, প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে রাস্তাটি দখলমুক্ত করবে। তাদের মতে, এটি শুধু একটি রাস্তা নয়, বরং ছয়-সাতটি গ্রামের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ। তারা চান, এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা হোক।