পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ঔষধ ক্রয়ের টেন্ডারে ঘাপলার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের এই মহামারীর মধ্যেও ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ঔষধ ক্রয়ের টেন্ডারে ঘাপলার অভিযোগ উঠেছে। “পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৮ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৬” বিধি ভঙ্গ করে বিপুল অংকের টাকা উৎকোচের বিনিময়ে সর্বনি¤œ দরদাতাকে কাজ না দিয়ে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট্র সুত্র জানায়, ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এমএসআর (মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল রিইকুইজিট) সামগ্রী ক্রয় করতে ঔষধপত্র, লিলেন, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, গজ ব্যান্ডেজ কটন, কেমিকেল রি-এজেন্ট এবং আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ৬টি গ্রুপে দরপত্র আহ্বান করা হয়। পাবনাসহ সারা দেশের ব্যবসায়ীরা এই দরপত্রে অংশ গ্রহণ করেন। ৬টি গ্রুপের মধ্যে ঔষধ বাদে ৫টি গ্রুপে সর্বনি¤œ দরদাতা হলেন পাবনার মেসার্স সেলিম হোসেন। নিয়ম অনুযায়ী ঐ ৫টি গ্রুপে সেলিম হোসেনকে কার্যাদেশ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু একই নিয়মে ঔষধ সরবরাহ গ্রুপে সর্বনি¤œ দরদাতা হন মেসার্স বিউটি মেডিসিন প্লাস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাকে কার্যাদেশ না দিয়ে দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির সুপারিশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেসার্স আনাফ ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে করে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৮ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৬ বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে সরকারের অনেক টাকা গচ্চা যাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

সর্বনি¤œ দরদাতা মেসার্স বিউটি মেডিসিন প্লাসের মালিক মো. আবুল হাসনাত বলেন, “আমার প্রতিষ্ঠান সর্বনি¤œ দরদাতা হওয়ার পরেও হাসপাতালের সহ-পরিচালকসহ দরপত্র মুল্যায়ন কমিটি আমাকে কাজ না দিয়ে বিপুল টাকা ঘুষের বিনিময়ে আনাফ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে একই ঔষুধের জন্য সরকারকে বিপুল অংকের টাকা বাড়তি খরচ করতে হবে। সরকারের অনেক টাকা গচ্চা যাবে। শুধুমাত্র ঠিকাদারের লাভের জন্য সরকারের এই ক্ষতি করা হচ্ছে”। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

পাবনা নাগরিক কমিটির আহবায়ক প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল মতীন খান বলেন, করোনার সময় পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ঐষধ ক্রয়ে টেন্ডার ঘাপলা মেনে নেওয়া যায়না। এটির তদন্ত হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক প্রফেসর আবুল হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি দরপত্র আহবানের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। দরপত্র মুল্যায়ন কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে। আমাকে সেইভাবে কাজ করতে হবে এবং সেই প্রতিষ্ঠানকেই কাজ দেওয়া হবে।