নাটোর প্রতিনিধি–প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বিরামহীনভাবে ছুটে চলেছেন উপজেলার কর্মহীন, অসহায় ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে। কখনো নিজ অর্থায়নে, কখনো সকারি, কখনো কোন দানশীল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারী সংস্থার অর্থায়নে নগদ টাকা, চাল, বা খাদ্যসামগ্রী নিয়ে। করোনা মোকাবেলায় শক্ত হাতে অসহায় কর্মহীন ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে গিয়ে তিনি ব্যতিক্রমী পথচলা শুরু করেছেন। এখন লড়ছেন করোনা ভাইরাস নামক এক মহামারি যুদ্ধের সাথে। এই মহামারির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া উপজেলার সাধারণ মানুষের ক্ষুধা নিবারণে তিনি প্রাাণপ্রণ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। সবকিছু মাড়িয়ে বড়াইগ্রামে তাঁর পরিচয় একজন মানবতার ফেরিওয়ালা।
বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের পর পর দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ইতিমধ্যে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা, ব্যক্তি ছাড়া তাঁর নিজ তহবিল থেকে অসংখ্য কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ পর্যন্ত সবমিলিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের কর্মহীন পরিবারের মাঝে তিনি চাল, ডাল তেলসহ খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ করেছেন। খাদ্য সহায়তা চলমান রয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগে কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে থাকার জন্য দিনরাত বিরামহীনভাবে ছুটে চলেছেন। মানবিক কারণে এসব খাদ্য সহায়তা কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া একজন চিকিৎসক হিসেবে বরাবরের মতোই চিকিৎসা সেবা এবং ফ্রি ঔষুধ বিতরণ তো রয়েছেই । এছাড়া গত ৭ এপ্রিল করোনা মোকাবেলায় নাটোরের বড়াইগ্রামে বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত, চিকিৎসা ও সেবা দানের লক্ষে সর্বপ্রথম ‘করোনা ইউনিট’ চালু করেন হাসপাতালটির স্বত্বাধিকারী, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ সিদ্দিকুর রহামান পাটোয়ারি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাসপাতালটিতে করোনা ইউনিট চালু করায় জেলা জুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে যানবাহনসহ সকল দোকানপাট বন্ধ থাকায় গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার কয়েক সহস্রাধিক কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। যার কারণে সবাই ক্ষুধার জ্বালায় এক মানবেতর জীবনযাপন করছে। সেই অসহায় ও কর্মহীন মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী । তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে উপজেলার বিত্তবান, প্রবাসী ও তাঁর আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাঙ্খীদের কাছ থেকেও খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করেন। এই খাদ্য সহায়তা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামেরকর্মহীন, দিনমজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দুঃস্থ মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। খাদ্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে চাল, আলু, মসুরী ডাল/চানার ডাল, পেঁয়াজ, তেল ও সাবান। পাশাপাশি সরকারিভাবে দুঃস্থ ও কর্মহীন পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান চলমান রয়েছে।
কর্মহীন হত দরিদ্রদের মাঝে নিজ অর্থায়নে ত্রাণ বিতরণের সময় সব সময় বলেছেন “আমার একার পক্ষে সবার খবর নেয়া সম্ভব নয়। আপনারা সজাগ থাকবেন। এবং আপনাদের এলাকায় কেউ অভুক্ত থাকলে আমাকে জানাবেন, আমি নিজে তার বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দেবো।” ।তিনি তার কথা অনুযায়ী নিজে ব্যাগবহণ করে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন বাড়িতে বাড়িতে ।
বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ভিন্ন রকম ঈদ উদযাপন করেছেন। ভোর থেকে মুঠোফোনে ৭ টি ইউনিয়ন এর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। কোথায় কারো সমস্যা আছে কিনা, সমস্যা থাকলে তা সল্যুশন করে দিয়েছেন। ঈদ এর আগের দিন ও তিনি প্রচার না করে বিভ্ন্ন ইউনিয়ন এ দুস্থ ব্যাক্তিদের মাঝে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছেন। ঈদের দিন নামাজ শেষে,পরিবারকে সময় দিয়ে তিনি তার হাসপাতালে সময় দিয়েছেন, যাতে কোনো ব্যাক্তি এই দুঃসময়ে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর এমন উদ্যোগকে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ প্রশংসার চোখে দেখছেন। পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করে তুলছেন। করোনার সংক্রমণ রোধে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হাত ধৌত করারও ব্যবস্থা করেছেন। আলাপকালে বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা সুলতান মিয়া, পেয়ারা বেগম, আং রহিম, সুলেমান মিয়া, বিকাশ পাল বলেন, যেখানে বিপদ, সেখানেই আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবকে দেখতে পাই। আমরা তাঁর মতো একজন চেয়ারম্যান পেয়ে বড়াইগ্রামবাসী ধন্য।
আলাপকালে আওয়ামীলীগ নেতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ‘বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ থেকে রেহাই পেতে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তাছাড়া সরকারি নির্দেশনায় সবকিছু বন্ধ থাকায় মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি আমার আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার প্রবাসী ও বিত্তবানদের সহযোগিতায় আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্ঠামাত্র। ইতিমধ্যে কর্মহীন অসহায় সহস্রাধিক মানুষের মাঝে মানবিক কারণে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’ এটি চলমান রয়েছে। এ ধরণের খাদ্য সহায়তা প্রদান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, এই মহাদুর্যোগের সময় সমাাজের বিত্তবাননসহ প্রবাসীসহ সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি লোকদের এগিয়ে আসা জরুরী।