করোনা সংকটে অনন্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের ছয়বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রবীন রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস সহ পুরো পরিবার । করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস,তার কন্যা যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি কুহেলী খুদ্দুস মুক্তি এবং পুত্র আসিফ আব্দুল্লাহ বীন কুদ্দুস শোভন সহ পরিবারের সদস্যরা নিজ এলাকায় অবস্থান করে হতদরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন ।করোনা ভাইরাসের ঝঁুকি উপেক্ষা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সত্তরোর্ধ বয়সী এই সাংসদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা একটি দিনের জন্য থেমে নেই । কোথায় নেই তারা । প্রতিদিন তারা ছুটে চলছেন অসহায় ছিন্নমুল হত দরিদ্র মানুষদের মাঝে খাবার নিয়ে। করোনা প্রতিরোধে শুরু থেকেই বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করেছিলেন তারা। করোনা সচেতনতায় নাটোর জেলা ব্যাপী সাংসদের নিজ কণ্ঠে করেছেন মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, জীবানুনাশক স্প্রে, সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করা থেকে শুরু করে খাবার সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সরকারী সাহায্যের বাইরে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের প্রায় ১৫ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে নিজ তহবিল থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস। তার সাথে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছেন তার কন্যা কুহেলী কুদ্দুস মুক্তি এবং পুত্র আসিফ আব্দুল্লাহ বীন কুদ্দুস শোভন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমনের পর থেকেই স্থানীয় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস দুই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভার ৬ হাজার খেটে খাওয়া পরিবারের সরকারী ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নেও গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের ১৫ হাজার পরিবারে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন । চিকিসকদের সাস্থ্য সুরক্ষা পোশাক পিপিআইসহ বিভিন্ন ভাবে সহায়তা দিচ্ছেন।
এদিকে সাংসদ পুত্র বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভনও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভবঘুরে ও হতদরিদ্র মানুষদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
এছাড়া জীবানু নাশকও স্প্রে করেছেন দুই উপজেলা ব্যাপি।
সাংসদ কন্য বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি
ও কল্লোল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ্যড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি দুই উপজেলায় অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল হিসাবে পরিচিত (জয় বাংলা ইয়ুথ এ্যওয়ার্ড প্রাপ্ত) কল্লোল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কাজ করছেন।
শুধু করোনা নয়, সমাজের বেকার যুব সমাজসহ অসহায় গরিব খেটে খাওয়া মানুষের সেবায় ব্রত রয়েছেন তার প্রতিষ্ঠানের ৬১ জন স্বেচ্ছাসেবক।
সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবং আমার গুরুদাসপুর বড়াইগ্রামের সাধারণ জনগণের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা থেকে আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী অসহায় প্রত্যেকটা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা থেকে এই কর্মহীন ও হতদরিদ্র মানুষদের মাঝে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাত রেখেছি ।ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে।
করোনা সংকটে দুই মাস যাবৎ পুরো পরিবার নিয়ে নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য কাজ করার জন্য সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস ।