পাবনার কৃতি সন্তান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম রবি (অবঃ) উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

বিশেষ প্রতিনিধি : অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ও সাবেক ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক আলহাজ এএসএম নজরুল ইসলাম রবি পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বেরুয়ান গ্রামে ১৯৫০ সনে জন্মগ্রহন করেন।

তাঁর পিতা অ্যাডঃ সাহাদত আলী আটঘরিয়ার সড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

চাকুরি হতে অবসরগ্রহণের পর তিনি পাবনা জজকোর্টে আইন পেশায় আত্মনিয়োগ করেন।

তাঁর দাদা আয়েজ উদ্দিন মোল্লা ছিলেন চাঁদভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

জেনারেল নজরুল সড়াবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পাবনা আর এম একাডেমী থেকে ১৯৬৬ সালে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাশ করে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন।

এসময় তিনি পুর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

এরপর তিনি ঈশ্বরদী জিন্নাহ কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পাড়াশোনা করার সময় পিএম লং কোর্সের জেন্টেলম্যান ক্যাডেট হিসেবে সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেন।

মিলিটারি একাডেমীর ২ বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে কমিশন্ড লাভ করেন।

দেশি –বিদেশী পেশাগত উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি তিনি মিরপুর স্টাফ কলেজ থেকে পিএসসি ও প্রথম শেণীতে মাস্টার্স ইন-ডিফেন্স স্টাডিজ (এমডিএস) ডিগ্রি অর্জন করেন।

এছাড়া তিনি অষ্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

তিনি ১৭ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর অধিনায়ক ছিলেন।

রংপুর ও ঘাটাইল ইনফেন্ট্রি ব্রিগেড এ ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ময়মনসিংহ পদাতিক ডিভিশন এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মিরপুর ডিফেন্স কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক ছিলেন এসময় তিনি সাফল্য ও সততার সাথে তার উপর অর্পিত পেশাগত দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করেন।

তিনি সৎ, মেধাবি, দক্ষ ও অভিজ্ঞ। দক্ষ নেতৃত্বের গুনাবলীর অধিকারি মেজর জেনারেল নজরুলকে পেশাগত জীবনে সুনাম ও সাফল্য এনে দিয়েছে।

তিনি দেশ প্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও মানুষের সেবায় তার কর্ম জীবন উৎসর্গ করেছেন।

তিনি তার গ্রামে নিজস্ব জমির একটি এতিম খানা ও হাফেজিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি মাতৃ ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নিজস্ব জমি দান করেছেন। তাঁরই দান কৃত জমির উপর বেরুয়ান পোষ্ট অফিস স্থাপিত হয়েছে।

তিনি টাংগাইল, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলা নিয়ে মোজাদ্দেদীয়া মানব কল্যান সংস্থা নামক একটি সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।

যার মাধ্যমে এতিম ও দুস্থ্যদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হয়। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র বৃত্তিও প্রদান করা হয়ে থাকে।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল।

তিনি পাবনা-৪ ( ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) নির্বাচনী এলাকা থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।