পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের লকডাউন এলাকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে মেহেদি হাসান রানা (৩৫) ও নাদের চৌধুরী (৪০) নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে পৌর শহরের সারুটিয়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক মেহেদী হাসান সারুটিয়া মহল্লার জাহাঙ্গীর হোসেন টুকুর ছেলে ও নাদের একই এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তারা নিজেদেরকে স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বলে দাবি করে ।
সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২ সপ্তাহ আগে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরশহরকে লকডাউন ঘোষণা করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এরপর শহরে প্রবেশের বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি মানুষ চলাচলেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পৌরসভার কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী যুবক এসব ব্যারিকেড এলাকায় দেখাশোনা করেন। একপর্যায়ে মঙ্গলবার পৌর শহরের সারুটিয়া এলাকার বাসিন্দা মেহেদি হাসান ও নাদের চৌধুরী নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে লকডাউন এলাকা থেকে পণ্যবাহী যানবাহনের চালক ও সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। এদিন চাটমোহর থেকে আগত একজন ব্যক্তি তাদেরকে চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে মারধর করে মেহেদী ও নাদের। পরে ওই আহত ব্যক্তি বিষয়টি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেলকে জানায়। পৌর মেয়র তাৎক্ষণিক বিষয়টি ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে অবগত করে। তখন পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে চাঁদাবাজির সময় সারুটিয়া এলাকা থেকে আটক করে।
ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তিরা লকডাউন এলাকা থেকে চাঁদা তুলছিল। চাঁদা না পেয়ে তারা এক ব্যক্তিকে মারধরও করে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরই থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে থানা পুলিশ গিয়ে তাদেরকে আটক করে।
ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই কামরুল ইসলাম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দেয়া আটক মেহেদী হাসান রানা ও নাদের চৌধুরী লকডাউন এলাকায় চাঁদাবাজি করছিল। চাঁদা না দেয়ায় তারা একজনকে মারধর করে। বিষয়টি ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র থানায় জানালে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এখন ভুক্তভোগী ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।