লকডাউনের মধ্যে রাতের আধারে ফের তাহেরপুর পৌরসভা হাট’প্রশাসন নিরব

রাজশাহী জেলার সর্ব বৃহতম বাণিকজ্যিক ব্যবসা কেন্দ্র তাহেরপুর পৌরসভায় করোনা সংক্রামন ঝুঁকি ও জেলা প্রশাসকের দেয়া লকডাউনের মধ্যে স্থানীয় ইজারদারেরা মাইকিং করে আবারোও রাতের আধারে হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল (১৭এপ্রিল) শুক্রবার হাটবারের দিন তাহেরপুর পৌরসভা হাটে ছিল উপচেপড়া ভীড় ছিল। এর আগে (১৬এপ্রিল) বৃহস্পতিবার বিকালে এলাকায় মাইকিন করে দিনগত রাত ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন্ দিক থেকে আশা ব্যাপক বিক্রিতা ও ক্রেতার সমাগম বাড়তে থাকে এই হাটে। এবং বেলা বাড়ার ষাথে সাথে লোকজন করোনা সতর্কতার সামাজিক দূরত্ব বাজার রাখার সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন হাটে উপচেপড়া ভীড় করতে থাকে। এ সময় হাটে ভয়ানক এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এবং লোকজন থাড়া হুড়া করে কে কার গায়ের উপর উঠতে শুরু করে। সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে বিভিন্ হাটের দিকে। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকায় বাড়তে থাকে করোনা সংক্রামনের ঝুকি। পরে বেলা সাড়ে ৯টার দিকে,খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজনসহ পুলিশ হাটে ছৃুটে আসেন। এবং হাটের মধ্যে বাজারে দোকানে খুলে ব্যবসা করার অভিযোগে বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে জরিমনা আদায় করাসহ দোকান বন্ধ করা হয়েছে। স্খানীয় বাজারের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানাযায়, গতকাল শুকবার ছিল তাহেরপুর পৌরসভার সপ্তাহিক বড় হাট। এই হাট উপলক্ষে এখানে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা থেকে ধান চাল আলু পেয়াজ,পান কলাসহ অন্যান্য তরিতররকারীর পাইকারের আগম ঘটে। সকাল থেকেই অনেক পাইকাররা ট্রাক যোগে আলু হাটায় প্রবেশ করে । এ সময় কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত আলু সহ অন্যান্য সবজি নিয়ে হাটে প্রবেশ করে। মুহুর্তের মধ্যেই হাটটি কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে ওঠে। এ সময় করোনা ঝুকি বাড়তে থাকে। লোকজন তাড়াহুড়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। তাহেরপুর পৌরসভার প্রবীন কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতা ও সচেতন ব্যাক্তিরা জানান,করোনা ভাইরাস সংক্রামনের জন্য বাগমারা উপজেলাটি বেশ ঝুকিপূর্ন। এখানে ঢাকা নারায়নগঞ্জসহ আক্রান্ত বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার লোকজনেরা শুক্রবার রাতে হাটে আগমন ঘটে। তারা বড় বড় ট্র্যাক, পিকাআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি নিয়ে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে হাটে ভীড় করতে থাকে। এবং তাহেরপুর পৌরসভা হাটটি ভয়ানক এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে মালামাল কেনা বেচা শুরু করায় তাহেরপুর হাট এলাকার লোকজনদের করোনা ভাইরাস সংক্রামনের ঝুকির মধ্যে ফেলে দেয় বলে তারা মন্তব্য করেন। এদিকে,করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ তিনটি রোগী শনাক্ত হওয়ার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় জন্য রাজশাহী জেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসক হামিদুল হক মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেন তিনি। এরপর থেকে রাজশাহী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও তাহেরপুর হাটের স্থানীয় ইজারদারেরা বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাইকিং করে রাতের আধারে হাট বসানোর ফলে হাট এলাকার লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েন। এব্যাপারে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ এস আই রাসেল আহমেদ জানান,বাগমারার ইউএনও স্যার ও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসির নির্দেশে তাহেরপুর হাটে সতর্কতা ও সামাজিক দূরত্ব বাজার রাখার জন্য পুলিশ ও আনছার ভিডিপির সদন্যদের টহলে রাখা হয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের লকডাউন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন,আপনারা আমার কাছে না বলে ইউএনও স্যার ও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসির কাছে ফোন করেন।