বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এই ভাষণ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৪২৬ বঙ্গাব্দের শেষ দিন আজ, সেই সঙ্গে বিদায় নিচ্ছে চৈত্র। আবহমান বাংলায় একে চৈত্রসংক্রান্তি দিন বলা হতো, একসময় বাংলা নববর্ষের চেয়েও আড়ম্বড়ে পালন করা হতো।
বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকতো নানা উৎসব- আনুষ্ঠানিক। সময়ের স্রোতে চৈত্র সংক্রান্তি ম্লান হয়ে বর্ষবরণই প্রধান হয়ে ওঠেছে। এবার অবশ্য প্রেক্ষাপট ভিন্নরকম, ভয়াল করোনার হুমকিতে বর্ষবিদায় আর বর্ষবরণ কোনটাতেই থাকছে না কোনো আয়োজন।
প্রাণঘাতী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এখন বিপর্যস্ত পৃথিবী। বাংলাদেশও বড় হুমকির মুখে। সংক্রমণ ঠেকাতে ঘরবন্দি সব মানুষ। সারাবিশ্বে মৃত্যুর ফণা যখন উদ্ধত, উৎসবের রঙ ছিটানোর কথা ভাবার অবকাশ কই?
কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ঘরে বসেই হৃদয়ের উষ্ণতা দিয়ে পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে বাঙালি।
আজকের এই দিনটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কালের গর্ভে হারাচ্ছে আরও একটি বছর। শুধু পুরনো বছরকে বিদায় জানাবে না; আজকের এই দিন কাটবে প্রার্থণায়, পৃথিবীর সমস্ত জরা থেকে মুক্তি কামনা করবে জাতি।
চীনের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার নববর্ষের অনুষ্ঠান হচ্ছে না। ঝুঁকি এড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বাইরে নববর্ষের কোনো অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দিয়েছেন। আজকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণেও দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি করোনার কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করবে।