পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ৩৮ জন দিনমজুরকে স্কুল ভবনে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে ওই দিনমজুররা ভাঙ্গুড়ায় আসে। তারা বরিশালে গত একমাস ধরে মাটির ট্রলারে দিনমজুরের কাজ করতো।
জানা যায়, উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের শ্রীপুর, পুকুরপাড় ও কয়ড়া গ্রামের ৩৮ জন দিনমজুর গত এক মাস আগে বরিশালে কাজে যায়। সেখানে তারা মাটিকাটা ট্রলারে কাজ করতো। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও তারা বরিশালে মাটিকাটা কাজ করছিল। একপর্যায়ে প্রশাসনের চাপে গত তিনদিন আগে ট্রলার বন্ধ হয়ে যায়। এতে কাজ না থাকায় তারা নদীপথে বুধবার গভীর রাতে ভাঙ্গুড়ায় এসে পৌঁছাবে এমন খবর আসে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে। পরে রাতে ওই দিনমজুররা গ্রামে পৌঁছালে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তাদেরকে বাড়িতে যেতে না দিয়ে পুকুরপাড় আইডিয়াল স্কুলের ভবনে রেখে দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে ওই দিনমজুরদের স্বজনরা তাদেরকে বাড়ি নিয়ে যেতে আসে। এসময় চেয়ারম্যান উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। তখন প্রশাসনের পরামর্শক্রমে ওই দিনমজুরদের স্কুল ভবনে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ওই দিন মজুরদের খাওয়া-দাওয়াসহ দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন ইউপি কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঐ দিনমজুমদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন বলে জানা গেছে।
খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান বলেন, গ্রামের মানুষদের করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পরামর্শ ক্রমে বহিরাগত দিনমজুরদের আলাদা করে রাখা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কোয়ারেন্টিনে রাখা ব্যক্তিদের দেখতে আসবেন। এরপর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তে ঐ দিনমজুরদের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।