ইয়ানূর রহমান : করোনা ভাইরাস মোকাবেলা ও সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্যে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আরও দু’টি ওয়ার্ড নির্ধারণ করা হচ্ছে।
বুধবার পুরুষ পেয়িং ওয়ার্ডে খালি করা হয়েছে। আজ পুুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড খালি করা হবে।
এদিকে, গতকাল ভারত থেকে ৫০ জন বাংলাদেশী বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফিরেছে। গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত যশোর সিভিল সার্জন অফিস আরও ৬টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়েছে। সব মিলে করোনার নমুনা পরীক্ষার ২৮টি রিপোর্টে কারো শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আরিফ আহমেদ জানিয়েছেন, এ হাসপাতালে পূর্বে করোনা চিকিৎসায় ১০টি বেড ছিল। রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আরও দুটি ওয়ার্ড বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ভেতর হাসপাতালের ১৯ নং পুরুষ ওয়ার্ডটি গতকাল কোয়ারেন্টিনে ওয়ার্ড হিসেবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আজ ৯ নং পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।গতকাল সকালে এ হাসপাতাল কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৫ জন। পরে বিকেলে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে ফেরত আসা আরও ১৬ জনকে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল কোয়ারেন্টিনে আনা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, এ হাসপাতালসহ জেলার অন্যান্য হাসপাতাল কোয়ারেন্টিনে গতকাল মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ৩১ জন। হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ২শ’ ৫৩ জন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বোনপোল বন্দর হয়ে ৫০ জন বাংলাদেশী ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন। তাদের ভেতর ১৬ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ৯ জন নারী, ৮ জন পুরুষ। সাথে ২ জন শিশু রয়েছে। ৫টি গাড়িতে করে তাদের এ হাসপাতালে আনা হয়। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, গতকাল করোনাভাইরাস সন্দেহে ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সব মিলে এ পর্যন্ত ২৮টি পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্ট মোতাবেক সবাই করোনামুক্ত। সিভিল সার্জনের মতে, উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল কেশবপুরে ১ জন, মনিরামপুরে ২ জন, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন চিকিৎসাধীন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি কাজ করছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে।#ইয়ানূর রহমান৮১৭১২৭৯৭৬০২