করোনা। যার থাবায় আক্রান্ত সারাবিশ্বের মানুষ। এটি এমন এক সংক্রামক ভাইরাস যা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর দ্রুত বিস্তার রোধে লকডাউন চলছে দেশে দেশে। অনেক দেশেই অন্ন বস্ত্রের কথা না ভেবেই লকডাউন করা হয়েছে। ফলে সংসার কীভাবে চলবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর অসহায় মানুষেরা।
দেশের এমন সংকটময় মুহুর্তে খেটে খাওয়া অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে জমানো টাকা দান করলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা। যিনি খেটে খাওয়া মানুষদের মুখে এক টুকরো হাসি ফোটাতে নিজের ‘মাটির ব্যাংকে’ জমানো সব টাকাই বিলিয়ে দিয়েছেন।
জানা যায়,মাটির ব্যাংকে জমানো সঞ্চয় অসহায় দিনমজুরদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া সেই আত্নত্যাগী ব্যাক্তির নাম মিজানুর রহমান লালন।তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আদর্শিত হয়ে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত রেখেছেন নিজেকে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনায় গৃহবন্ধী থাকা খেটে খাওয়া অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার ব্যাংকে বছর ধরে জমানো টাকার পরিমাণ ছিলো দুই হাজার ৬৭২ টাকা।
এর আগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং জীবাণুনাশক স্প্রে বিতরণসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে রেখেছেন তিনি।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উজ্জীবিত করতে বিনামূল্যে ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী’ বইটির কয়েক হাজার কপি শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন করেছেন বলে জানান তিনি।
তার এ মহান আত্নত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছি। সকলে নিজ নিজ জায়গা থেকে করোনা আতঙ্কে গৃহেবন্দী খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। দেশের এমন সংকটময় মুহুর্তে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় পারে অসহায়দের মুখে হাঁসি ফোটাতে।