পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ২৭ তম বইমেলা বুধবার শেষ হয়েছে। গত ৩ মার্চ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এই মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় ৩৫ টি বইয়ের দোকান সহ মোট ৫৫ টি স্টল বসে। বইয়ের দোকানগুলোতে দেশী বিদেশী লেখকদের বইয়ের পাশাপাশি স্থানীয় লেখকদের বই বিক্রি হয়। মেলা চলাকালীন প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেলায় সহস্রাধিক দর্শনার্থীর মিলনমেলায় পরিণত হয়।
মেলার স্টল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের বই মেলায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার বই বিক্রি হয়েছে। ভাঙ্গুড়া সহ আশেপাশের উপজেলা থেকে প্রতিদিন সহস্রাধিক দর্শনার্থীরা মেলায় এসে গল্প, কবিতা, সাহিত্য, শিশুতোষ, খেলাধুলা ও প্রবন্ধ সহ বিভিন্ন রকমের বই ক্রয় করেছে। দেশী বিদেশী লেখকের ছাড়াও এবারের মেলায় স্থানীয় একাধিক লেখকদের বই বিক্রি হয়। তবে এবারের মেলায় বই বিক্রির শীর্ষে ছিল কবিতার বই আদরিণী। যমুনা টেলিভিশনের পাবনা প্রতিনিধি ও পাবনার সবচেয়ে প্রাচীন দৈনিক ইছামতি পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ছিফাত রহমান সনমের লেখা আদরিণী বইটি দর্শনার্থীদের মন ছুঁয়ে যায়। এতে এবছর বইমেলায় আদরিণী বইটির শতাধিক সংখ্যা বিক্রি হয়। বিশেষ করে বইটি তরুণদের আকৃষ্ট করে ব্যাপকভাবে।
তরুণ পাঠক শাহিবুল ইসলাম পিপুল বলেন, আমি ছিফাত রহমান সনম ভাইয়ের একজন ভক্ত। তার লেখা প্রতিটি বই পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তবে তার কবিতার বই আদরিণী আমার আরো বেশি ভালো লেগেছে। আমি আমার প্রিয়জনদেরকে তার বই পড়তে উৎসাহ দেই।
আলোর সন্ধানে নামের বই স্টলের মালিক ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলীম বলেন, মেলার প্রথম দিন থেকেই আদরিনী বইটির চাহিদা ছিল দর্শনার্থীদের কাছে। অনেক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা বইটি কিনে প্রিয়জনকে উপহার দিয়েছেন। চাহিদা মেটাতে অন্য দোকান থেকে আদরিণী বই নিয়ে এসে তাদের কাছে বিক্রি করেছি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, আদরিনী বইটির প্রতিটি কবিতা অসম্ভব ভালো লেগেছে। তাই নিজের জন্য বইটি সংগ্রহ করে রেখেছি এবং একাধিক প্রিয়জনকে উপহার দিয়েছি।