লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের আলাবকস বলাইর পাঠ গ্রামে বাসন্তি দেবি মন্দীরের আদালতের দায়েরকৃত ১৪৪ ধারা জারী ভঙ্গ করে দেয়াল নির্মার্নে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এঘটনায় ধীরেন্দ্র নাথ সরকার প্রতীকার চেয়ে সদর থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। যার নম্বর ৬২৯ তারিখ-১৩/০২/২০২০ইং। গত ৩০/০১/২০২০ ইং তারিখে মন্দীরে স্বরস্বতী পজা করতে পারেনি ৪৪টি পরিবার। ডায়েরী করায় প্রতিপক্ষ বলরাম প্রসাদ ঈশোরগং অপর পক্ষের লোকজনদের উপর লাঠি সোটা ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এঘটনায় অপর পক্ষের বাসন্তি দেবী মন্দীরের ৪৪টি পরিবার পুজা অর্চনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জানাগেছে, দীর্ঘ বছর ধরে ওই মন্দীরে সনাতন ধর্মাবলাম্বী লোকজন পুজা অর্চনা করে আসছেন। মন্দীরের জায়গা দখল করার লক্ষে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ বলরাম প্রশাদ ঈশোর তার লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষ ধীরেন্দ্র নাথ সরকারসহ ৪৪টি পরিবারকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পুজা অর্চনা করতে বাধাঁ প্রদান করেন। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারপিঠের ঘটনা ঘটে। ধীরেন্দ্র নাথ সরকারসহ বঞ্চিত পরিবারগুলো জানান, গত ১৪ ফেব্রয়ারী ২০২০ ইং মন্দীরে পুজা করতে গেলে বলরাম প্রসাদ ঈশোর দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারগুলোকে পুজা অর্চনা থেকে বিরত থাকার হুমকি দেন। পরে আদালতে ১৪৪ ধারা মতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা করে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নোটিশ জারী করেন। গত ০১/০৩/২০২০ইং তারিখে আদালত হাজিরের নির্দেশ দেন। তা উপক্ষে করে প্রতিপক্ষ ও দুদুক কর্মকর্তা পরিচয়কারী প্রভাবশালী বলরাম প্রসাদ ঈশোর আদালতের আদেশ অমান্য করে ৪৪টি পরিবারের সকলকে পুজা অর্চনা থেকে বিরত থাকার হুমকি দিচ্ছেন। ফলে পরিবারগুলো তাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীর পুজা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন। এব্যাপারে বলরাম প্রসাদ ঈশোরের সাথে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে তিনি রিসিভ করেনি। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আদালতের আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।