ঘুষ নেয়া ও হয়রানির অভিযোগ ফরিদপুরে পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ


পাবনার ফরিদপুরে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু দাসের প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুর থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশ কর্মকর্তা মিন্টুর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও সাধারণ মানুষকে আটকে হয়রানির অভিযোগ তুলে ¯েøাগান দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সোমবার বিকালে উপজেলার পারফরিদপুর গ্রাম থেকে আব্দুল মুন্নাফ ও রাসেল হোসেন নামে দুই প্রবাসীকে মাদক সেবনের সন্দেহে আটক করে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিন্টু দাস। সৌদি প্রবাসী মুন্নাফ (২৩) ওই গ্রামের আব্দুল মজিদের ও মালয়েশিয়া প্রবাসী রাসেল (২৪) শামসুল প্রামাণিকের ছেলে। পরে রাতে আটক দুই জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার চুক্তিতে উপ-পরিদর্শক মিন্টু দাসকে ২০ হাজার টাকা দেয় রাসেল ও মুন্নাফের পরিবার। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে উভয়কে সাত দিনের কারাদÐ দেন। এরপর পারফরিদপুর গ্রাম সহ আশপাশের গ্রামগুলোর শতাধিক যুবক উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হয়ে দুপুর থেকে পুলিশ উপ-পরিদর্শক মিন্টুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিকাল চারটার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পুলিশ আটক রাসেল ও মুন্নাফকে থানায় নিয়ে যায়।

ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুরাদ বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মিন্টু দাসের বিরুদ্ধে প্রায়ই বিনা কারণে মানুষকে আটকে ঘুষ নেয়া ও হয়রানি করার অভিযোগ আছে। এ ধরনের পুলিশ কর্মকর্তার জন্য সমাজে পুলিশের প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধ্যান ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।

ঘুষ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-পরিদর্শক মিন্টু দাস বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক সেবনের সময় রাসেল ও মুন্নাফকে আটক করি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের মাদক সেবনের বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক ব্যক্তিদের ৭ দিনের কারাদÐ দিলে এলাকার কিছু যুবক আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। আমি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স হওয়ায় এলাকার এক শ্রেণীর মানুষ আমার প্রত্যাহার চাচ্ছে।’

ফরিদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ আলী বলেন, ‘ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মাদক সেবনের অভিযোগে আটককৃত দুই যুবককে কারাদÐ দেয়ার পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে। পরে উপস্থিত জনতাকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করি।’