পানি চলাচলের রাস্থা বন্ধ করে ব্রীজের সম্মুখে বাড়ী ও পুকর নির্মাণ

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ শ্রীমঙ্গল-মির্জাপুর-শমসেরগঞ্জ শাসন গ্রামে বানিয়া ভাঙ্গা ব্রীজ‘র সম্মুখে সরকারী রাস্থায় বে আইনীভাবে পানি চলাচলের রাস্থা বন্ধ করে বাড়ী ও পুকুর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে ২নং ভুনবীর ইউনিয়নের শাসন গ্রামের মোঃ তাজু মিয়ার পুত্র মোঃ লিটন মিয়াগংদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান- শাসন, শাসন দ্বিঘর, ইসলামপাড়া, কদমতলাসহ অন্যান্য এলাকার পানি নিস্কাশন, পশ্চিমদিক হতে প্রবাহিত পাহাড়ী ঢলের পানি যুগ যুগ ধরে বানিয়া ভাঙ্গা ব্রীজ দিয়ে সরাসরি হাইল-হাওরে প্রবাহিত হয়ে আসছে। ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে পুকুর, বাড়ী নির্মাণ করা হলে প্রতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে এবং শুধুমাত্র শাসন গ্রামে প্রায় ২০০ একর জমির মালিক ও কৃষকগণ মারান্তক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের বাড়ীঘর, রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত হয়ে এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সমস্যার সৃষ্টি হবে। অপরদিকে, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মির্জাপুর-শ্রীমঙ্গল রাস্তাটি দুর্বল হয়ে ব্রীজ ও রাস্তা ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা স্থানীয় জনসাধারণ ও কৃষকগনের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তাছাড়া, ব্রীজটির সম্মুখে কর্তৃপক্ষেও বিনাঅনুমতিতে ভূমির শ্রেণী পরির্তন না করে সাইল রকম ভূমিতে পুকুর,বাড়ী নির্মাণ করে পানি নিস্কাশনের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা “ প্রচলিত আইন লংঘ‘র শামিল” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুকুর জলাশয়,নদী,খাল,বিল ভরাট করে যত্রতত্র বাড়ী-ঘর না করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশি¬স্টদের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। স্থানীয় কৃষকগণকে উৎসাহিত করা, কৃষি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন এবং এলাকার জনসাধারণ, ছাত্র-ছাত্রীগণের নির্বিঘেœ চলাচলের বিষয়টি বিভেচনায় রেখে সংশি¬স্ট কর্তৃপক্ষের যতাযত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অতিব জরুরী। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে ১১২ জন স্বাক্ষরিত শাসন গ্রামের রমেন্দ্র কুমার ভট্রাচার্য্য, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ ( নং-স্বারক নং- ০৫.৪৬.৫৮০০.০০৯.৭১.০০১.১৮.৬৩১) দায়ের করেছেন