নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা শিকারপাড়া গ্রামের গৃহবধূ এক সন্তানের জননী রুপালী খাতুন (২৪) যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রোববার দুপুরে পালিয়ে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। একনাগাড়ে তিনদিন স্বামীর অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয় রুপালী।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ জানান, ৬ বছর আগে শিকারপাড়া গ্রামের মৃত খানমামুদ মন্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর মন্ডলের (৩০) সাথে ৯৫ হাজার টাকা যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর ইমরান (৫) নামের এক সন্তান জন্ম নেয়। সন্তানটির জন্মের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য রুপালীকে মারপিট করে বাপের বাড়ি পাঠায় তার স্বামী।
রুপালী আরো জানায়, ঘটনার দিন শুক্র-শনি ও রবিবার তাকে বেধরক মারপিট করে পাষন্ড স্বামী। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সন্তানকে পিতার বাড়িতে রেখে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আসেন। তিনি মারপিটের যন্ত্রনায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন।
রুপালীর পিতা চাঁচকৈড় খলিফাপাড়া মহল্লার দিনমজুর আবদুল মতিন জানান, তার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই মারপিট করে যৌতুকের টাকা চেয়ে আসছিল। আমার সন্তানের ওপর অমানবিক নির্যাতনের বিচার চাই।#