শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি দৈনিক নয়াদিগন্ত,লোকসমাজ ও এফএনএস প্রতিনিধি মফিজুল ইসলাম মফিজের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার রাতেই ৪জন কে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম । মামলায় আরো কয়েকজন কে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। তবে ঘটনার ২দিন পার হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। ফেরত পাওয়া যায়নি সাংবাদিকের ক্যামেরা, মোবাইল ও নগদ টাকা।
এদিকে শৈলকুপা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকালে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ডেকে সাংবাদিক মফিজের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে । এছাড়া অবিলম্বে হামলাকারী সঞ্জয় কুমার, সাধন কুমার, অজয় ও সুভাস কে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ ও উদ্বেগ জানিয়েছেন। হামলাকারীরা এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম। তাদের সাথে আরোও সংঘবদ্ধ একটি চক্র রয়েছে, যারা সাংবাদিক কে হামলার সাথে জড়িত ছিল । এদিকে প্রকাশ্যে এমন হামলা ও ছিনতায়ের ঘটনায় সাংবাদিক মফিজের বাড়ি ধলহরাচন্দ্র গ্রামে পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে । যেকোন সময় আবারো পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার আশংকা করছেন তারা। মফিজ এখনো শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল । সাংবাদিক মফিজের শারিরীক অবস্থার এখনো উন্নতি ঘটেনি। তাকে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় ক্লাবের সভাপতি এম হাসান মুসা, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আক্তার পলাশ, তাজনুর রহমান ডাবলু, মাসুদুর রহমান, আব্দুল আলিম, শামিম বিন সাত্তার, তুহীন জোয়াদ্দার, আব্দুল মান্নান, আব্দুল জাব্বার, ওয়ালী উল্লাহ সহ পরিষদের অন্যান্য নির্বাহী সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সাংবাদিক মফিজের উপর হামলা মামলা পুলিশ গ্রহণ করলেও পাশাপাশি সাংবাদিক মফিজ ও তার পরিবারের সদস্যদের পেঁচিয়ে পাল্টা একটি মিথ্যা মামলা পুলিশ গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ করছে সাংবাদিক মফিজের পরিবার । এমন মামলায় প্রশ্ন উঠেছে জনমনে, প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যেও ।
এদিকে সাংবাদিক মফিজের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুন অর রশিদ ।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ৮টার দিকে সাংবাদিক মফিজ গ্রামের বাড়ি ধলহরাচন্দ্র থেকে পেশাগত কাজে বাইরে বের হলে একদল চিহ্নিত দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায় । তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় । তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা এবং পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি করে।